করোনা প্রতিরোধে আরও বেশি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত কলকাতা পুরসভার
নোবেল ভাইরাস করোনা প্রতিরোধে আরও বেশি বেশি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। শহরের কন্টেনমেন্ট জোনগুলিতে র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্টের পাশাপাশি আগামীতে টেস্টের সংখ্যাও বাড়ানো হবে বলে জানা গিয়েছে।

মঙ্গলবার থেকে কলকাতা পুর এলাকার ৫টি কন্টেনমেন্ট জোনে র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট শুরু হয়েছে। দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়া এলাকার পঞ্চাননতলা এলাকা থেকে এই কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে কলকাতা পুরনিগম কর্তৃপক্ষ। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর ও আইসিএমআরের উদ্যোগে কন্টেনমেন্টে জোনগুলিতে কোন কোন সাধারণ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে, সেটা খুঁজে বার করতেই এই পরীক্ষা শুরু হয়েছে। কলকাতা পুরসভার যে ৫টি ওয়ার্ডের ৫টি কন্টেনমেন্ট জোনে এই পরীক্ষা চালানো হচ্ছে সেগুলি হল ১১, ২৮, ৬১, ৮২ ও ৯০। প্রথম পর্যায়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে ১০০টি করে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। সেগুলি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে চেন্নাইতে আইসিএমআরের ল্যাবে।
এর পাশাপাশি, বাজায়াপ্ত মাস্ক এবং গ্লাভস সংগ্রহেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে পুরসভার তরফে। বাজয়াপ্ত জিনিসগুলো নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলতে শহর জুড়ে হলুদ ড্রাম বসানো হচ্ছে। পুরসভার তফরে জানানো হয়েছে, অফিস বা ব্যবসার কাজে শহরে আসা এবং বাসিন্দা উভয় শ্রেণির মানুষকেই নিজেদের ব্যবহার করা মাস্ক, গ্লাভস ওই পাত্রে ফেলতে হবে। বিশেষ পরিকাঠামোর গাড়ি দিয়ে ওই হলুদ ড্রাম থেকে পরিত্যক্ত সামগ্রী 'বায়ো মেডিক্যাল বর্জ্য' হিসাবে সংগ্রহ করে সেগুলিকে বিশেষ পদ্ধতিতে নষ্ট করবে।
এছাড়াও প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে শহরের বাসস্ট্যান্ড, শপিং মল, বাজার, পেট্রল পাম্পের সামনে যেমন এই হলুদ ড্রাম যেমন বসানো হবে তেমনই গড়িয়াহাট, বিবাদী বাগ, শ্যামবাজার, হাজরা, ধর্মতলা, হাতিবাগানের মতো জনবহুল এলাকাগুলিতেও এই ড্রাম বসানো হবে। সেই সঙ্গে প্রচার করা হবে যাতে এই ড্রামে সাধারন মানুষ আবর্জনা বা জঞ্জাল না ফেলেন।

মোদী বনাম মমতার ব্যাটেল ২.০, বিরোধী 'মুখ’ পেতেই একজোট অ-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীরা