স্ট্রিট ফুডের দোকান ও রেস্তোরাঁয় অভিযান চালাল কলকাতা পুরসভা
স্ট্রিট ফুডের দোকান ও রেস্তোরাঁয় অভিযান চালাল কলকাতা পুরসভা
খাবারের মান যাতে সঠিক থাকে এবং তা যেন স্বাস্থ্যসম্মত হয়, এই উদ্দেশ্যে কলকাতা পুরসভা অভিযান চালিয়েছিল শহরের রেস্তোরাঁগুলিতে। রেস্তোরাঁর পাশাপাশি অভিযান চালানো হয় খাদ্য ব্যবসায়ী সংস্থায় (এফবিও)। স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকের পুজোর ছুটি চলাকালীনই শহরের ২৪৫টি এফবিও এবং ৩২টি মিষ্টির দোকান সহ ২১৩টি রেস্তোরাঁয় ঢুঁ মারেন।
২৪৫টি এফবিও–এর মধ্যে মাত্র ছ’টি এফবিওর কোনও লাইসেন্স নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। অন্যদিকে কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে ৭২৪টি স্ট্রীট ফুডের দোকানে অভিযান চালিয়ে ২০৯টি দোকান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে আনা হয়। যার মধ্যে ন’টি খাদ্যের নমুনায় অস্বাস্থ্যকর উপাদান পাওয়া গিয়েছে।
যে সব বিক্রেতা খাবারে অনুমোদন নয় এমন রঙ মেশানে পাউরুটির গুঁড়ো এবং কারখানার বরফ ব্যবহার করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। এফবিওর ক্ষেত্রে যথাযথ লাইসেন্স এবং সরকারি নথিবদ্ধ, খাদ্য সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যের ওপর জোর দিয়েছে স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা।
এমআইসির সদস্য এবং ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলেন, 'স্বাস্থ্যকর ও পরিস্কার খাবারের অভ্যাস, পরিস্কার রান্নাঘর এবং দামি উপকরণ ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেক বছরই মানুষ স্বাস্থ্যসম্মত খাবার নিয়ে সচেতন হচ্ছে।’ তিনি আরও জানান, রাস্তায় যে সব বিক্রেতা মুখরোচক খাবার বিক্রি করেন, তাদের মধ্যেও সচেতনতা প্রয়োজন।
ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলেন, 'প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ শহর এবং জেলায় এসে রাস্তায় বিক্রেতাদের পরিবেশিত খাবার খান। মানুষ যাতে মানসম্পন্ন খাবার পান তা নিশ্চিত করা কেএমসির কর্তব্য। রেস্তোঁরা, খাদ্য ব্যবসায়ী সংস্থা এবং রাস্তার বিক্রেতাদের রান্নাতে ভালো মানের জিনিস ব্যবহার করতে বলা হয়েছে যাতে যারা তাদের রেস্তোঁরা বা স্টলে খাচ্ছেন তারা অসুস্থ না হয়ে পড়েন।’
শহরজুড়ে 'বিপজ্জনক বাড়ির' মালিকদেরই এবার জেলে পাঠানোর ভাবনা কলকাতা পৌরসভার