আশার চির সমাধি, কফিনবন্দি হয়ে ফিরছে ইরাকে নিহত ২ বাঙালি যুবকের দেহ
আশায় বুক বেঁধে চার-চারটি বছর কেটে গিয়েছে। ফিরে আসেনি বাড়ির ছেলে। এতদিন পর সব আশার পরিসমাপ্তিতে কফিনবন্দি হয়ে ফিরছেন ইরাকে নৃশংসভাবে হত্যা রাজ্যের দুই যুবক।
আশায় বুক বেঁধে চার-চারটি বছর কেটে গিয়েছে। ফিরে আসেনি বাড়ির ছেলে। এতদিন পর সব আশার পরিসমাপ্তিতে কফিনবন্দি হয়ে ফিরছেন ইরাকে নৃশংসভাবে হত্যা রাজ্যের দুই যুবক। সোমবার রাতেই পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে নদিয়ার তেহট্টের খোকন শিকদার ও ভীমপুরের সমর টিকাদারের দেহ। তারপর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁদের দেহের শেষকৃত্য করা হবে।
[আরও পড়ুন:দেশে ফিরল ইরাকে আইএসের হাতে নিহত ৩৮ ভারতীয়র দেহ ]
ইরাকে কাজের সন্ধানে গিয়ে পণবন্দি হয়েছিল ৩৯ ভারতীয়। তাঁরা যে কেউ বেঁচে নেই তা এতদিন পর সংসদে দাঁড়িয়ে নিশ্চিত করেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। তারপরই তাঁদের দেহ আনার ব্যাপারে তোড়জোড় শুরু হয়। বিদেশমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ভিকে সিং নিজে যান দেহ আনতে। ৩৯ জনের মধ্যে ৩৮ জনের দেহ তিনি ফিরিয়ে আনেন। বিহারের রাজকুমার যাদবের দেহ আনা সম্ভব হয়নি ডিএনএ না মেলায়।
এদিনই ভারতে এসে পৌঁছয় ৩৮ দেহ। যাঁদের ধারালো অস্ত্রের কোপে ধড় থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়েছিল। সোমবার দুপুরে সি-১৭ বিমানে দিল্লিতে নামে দেহ। দুই বাঙালির দেহ সন্ধ্যা ছ-টা নাগাদ দমদম বিমানবন্দরে নামবে। তারপরই জেলার উদ্দেশ্যে রওনা দেবে সড়কপথে। রাতেই পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে দেহ।
রবিবার নিহত আধিকারিকদের দেহাংশ তুলে দেওয়া হয় ভারতীয় আধিকারিকদের হাতে। সেই দেহগুলি এরপর ফিরিয়ে আনার জন্য বিশেষ বিমানের বন্দোবস্ত করা হয়। এদিন দুপুরে দিল্লিতে পৌঁছয় নিহত ভারতীয়দের দেহ নিয়ে আসা বিমানটি। সেই বিমান প্রথমে যায় অমৃতসরে। পাঞ্জাবের ২৬ জনের দেহ ছিল ওই বিমানে। এরপর সন্ধ্যায় বিমানটি আসবে দমদমে।