For Daily Alerts
৮২ তম বছরে কাশী বোস লেনের দুর্গা পুজো! থিম 'অস্তিত্ব' নিয়ে লড়াই
জলই জীবন.. কিন্তু বর্তমান সমাজ সভ্যতায় দাঁড়িয়ে বিশ্বজুড়ে বেড়ে চলা নগরায়ন এবং উষ্ণায়নের প্রভাবে ক্রমশ কমছে মাটির নিচের জলস্তর।
জলই জীবন.. কিন্তু বর্তমান সমাজ সভ্যতায় দাঁড়িয়ে বিশ্বজুড়ে বেড়ে চলা নগরায়ন এবং উষ্ণায়নের প্রভাবে ক্রমশ কমছে মাটির নিচের জলস্তর। সমগ্র বিশ্বজুড়ে তাই জল সংকট এক অত্যন্ত চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এবছর ৮২ তম বর্ষে জনমানসের উদ্দেশ্যে এই বার্তাই তুলে ধরতে চেয়েছেন কাশী বোস লেন-এর পুজো কমিটি। থিম 'অস্তিত্ব'। তবে প্রতিমায় থাকছে সাবেকিয়ানার ছোঁয়া।
পুজো উদ্যোক্তাদের এই গভীর চিন্তার বাস্তব রূপ দিচ্ছেন শিল্পী প্রদীপ দাস। তিনি জানান, জল আমাদের জীবন। জল ছাড়া প্রাণিকূলকে অস্তিত্ব সংকটে ভুগতে হবে তাই জলকে বাঁচালে নিজে বাঁচবে। জল না থাকলে আশেপাশের পরিস্হিতি বদলে গিয়ে কী রকম দৃশ্য চোখে পড়বে,তা তুলে ধরা হবে এবারের মণ্ডপ সজ্জায়। জল সংকটের অবস্থা ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে কিভাবে প্রভাব ফেলছে সেই দৃশ্য তুলে ধরা হয়েছে।
এর পাশাপাশি পূর্বতন এক কাল্পনিক প্রাচীন সভ্যতাকে পুজোমণ্ডপে তুলে ধরা হচ্ছে। যে শহরে জলের আধার রয়েছে, ঘাট রয়েছে। স্নান করার জায়গা রয়েছে। সেখানে দেবীর আরাধনাও হচ্ছে। কিন্তু কোথাও জল নেই। সব জলাধার শূন্য। জলের অভাবে কীভাবে একটা সভ্যতা বিলুপ্তির পথে চলেছে সেই কাল্পনিক বাস্তবতাকে তুলে ধরা হচ্ছে মণ্ডপে।
মণ্ডপ শিল্পী আরও জানান, গোটা মণ্ডপকে বিভিন্ন স্তরে ভাগ করা হয়েছে গোটা। প্রথম ভাগে দেখা যাবে, নদী তীরবর্তী একটা সভ্যতা কীভাবে জলের অভাবে ধ্বংসের মুখে। জল নেই কোথাও। জলস্তর নেমে যাওয়ায় করুণ অবস্থা সাধারণ মানুষের। তার পরের ধাপে দেখা যাবে, সমস্ত প্রাণ জীবাশ্মে পরিণত হয়েছে। তার মধ্যে ভগবান বিষ্ণু জলের মধ্যে অধিষ্ঠিত। আর ডুবুরিরা বিষ্ণুকে ধরার চেষ্টা করছেন। শেষ ভাগে দেবী দুর্গা। এখানে গঙ্গারূপী দেবীকে আরাধনা করা হচ্ছে। শহর কলকাতার অন্যতম জলের উৎস হল গঙ্গা। সেই দেবী গঙ্গাই প্রাণদায়িনী কলকাতার। সেই দেবীর কাছেই জলের জন্য প্রার্থনা করছে শহরবাসী।
Comments
English summary
Kashi Bose Lane Sarbojonin Durgatsob's theme Existance