কংগ্রেসই বিভেদের কারণ! ‘বুড়ো’ নেতারা বাদ, নতুন যুগ শুরু সিপিএমে
কোনও কিছু করেই ভোটাভুটি এড়াতে পারল না সিপিএম। প্রসঙ্গ কলকাতা জেলা কমিটি নির্বাচন। সেখানেও আড়াআড়ি দুভাগ সিপিএম। কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের পক্ষেই শুরু ভোটাভুটি।
কংগ্রেস-ভূত কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না সিপিএমকে। কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক থেকে শুরু, সেই ট্রেন্ড চলল কলকাতা জেলা কমিটির নির্বাচনেও। কোনও কিছু করেই ভোটাভুটি এড়াতে পারল না সিপিএম। প্রসঙ্গ কলকাতা জেলা কমিটি নির্বাচন। সেখানেও আড়াআড়ি দুভাগ সিপিএম। একাংশ কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের পক্ষে। অন্যরা জোট বিরোধী। সেই আঙ্গিকেই এবার নির্বাচন হল কলকাতা জেলা কমিটির। কলকাতা জেলা কমিটির নব নির্বাচিত সম্পাদক হলেন কল্লোল মজুমদার।
[আরও পড়ুন:ভারতী ঘোষকে হাজিরার জন্য সমন সিআইডি-র! সামনে না আসায় উঠছে প্রশ্ন]
দুদিন ধরে কলকাতা জেলা কমিটির সম্মেলনে তাত্ত্বিক আলোচনা হল। সেই আলোচনা শেষে ভোটাভুটি হল। সিপিএমের কলকাতা জেলা কমিটিতে নতুন মুখের ছড়াছড়ি। বয়সের কারণে বাদ পড়লেন গতবারের সম্পাদক নিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়-সহ শ্রমিক আন্দোলনেক তাবড় নেতা রাজদেও গোয়ালা, দিলীপ সেনের মতো প্রবীণ নেতারাও।
দুদিনের সম্মেলন শেষে জেলা কমিটির প্রস্তাবিত প্যানেল জমা পড়ে। কিন্তু সেই প্রস্তাব পেশ করার পরই তার বিরুদ্ধে ভোট লড়তে দাঁড়িয়ে পড়েন সিপিএমের একাংশ। মূলত কংগ্রেস জোট ও জোট-বিরোধী লাইনেই ভাগ হয়ে যায় কলকাতা সিপিএম। রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র ও প্রবীণ বাম নেতা বিমান বসুরা হাজারো চেষ্টা করেও এই ভোটাভুটি এড়াতে পারেনি। তবে ভোটাভুটিতে জয়ী হয় প্রস্তাবিত প্যানেল-ই।
এদিন নতুন কমিটি নির্বাচনের পর শুরু হয় সম্পাদক নির্বাচন নিয়ে মতানৈক্য। প্রাক্তন মন্ত্রী মানব মুখোপাধ্যায় বনাম কল্লোল মজুমদার লড়াই। সেই লড়াইয়ে ভোটাভুটির পর শেষ হাসি হাসেন কল্লোল মজুমদার ব্রিগেড। উল্লেখ্য মানব মুখোপাধ্যায় ছিলেন কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের পক্ষ। আর জোট বিরোধী অবস্থানে ছিলেন কল্লোল মজুমদার। শেষপর্যন্ত তাঁর প্যানেলই জয়ী হয়।
রাজ্যে জনতার রায়ে এখন বিরোধী দলের তকমাও হারিয়েছে সিপিএম। এ প্রসঙ্গে বারবার উঠে এসেছে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের তত্ত্ব। পার্টি কংগ্রেস থেকে পলিটব্যুরো বৈঠক, কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক- সর্বত্রই অধিকাংশ সময় অতিবাহিত হয়েছে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট ইস্যুতে। শেষপর্যন্ত ভোটাভুটিতে কারাত লবির জয় হয়েছে। ফলে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট এখন দুরুহ হয়ে উঠেছে। যদিও বলা হচ্ছিল বঙ্গ সিপিএম জোটের পক্ষেই। কিন্তু কলকাতা জেলা কমিটির নির্বাচন অন্য বার্তা দিয়ে গেল, সেখানেও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বিরেোধী অবস্থানের পক্ষেই রায় গেল।
[আরও পড়ুন:সপ্তাহের শুরুতেই মেট্রো বিভ্রাট, বিপাকে নিত্যযাত্রীরা]