সকাল থেকে ভক্ত সমাগম দক্ষিণেশ্বরে, বিধি মেনে চলছে পুজো, আলোক মালায় সেজে উঠেছে ভবতারিনীর মন্দির
প্রতি বছরের মতো এ বছরেও কালীপুজো উপলক্ষে সেজে উঠেছে দক্ষিণেশ্বরে মা ভবতারিণীর মন্দির। এবছর করোনা পরিস্থিতিতে দর্শনার্থীদের জন্য গভীর রাত পর্যন্ত খোলা থাকবে দক্ষিণেশ্বর মন্দির।
মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, শনিবার সকাল ৭টা থেকে রবিবার রাত সাড়ে ৩টে পর্যন্ত দক্ষিণেশ্বর খোলা রাখা হবে। এছাড়াও গৃহবন্দি ভক্তদের জন্য এবছর এই প্রথম অনলাইনেও পুজো দেখা সুযোগ রয়েছে।

প্রসঙ্গত, আনলক পরিস্থিতিতেও মন্দির খুললেও ভক্ত ও দর্শনার্থীদের জন্য এত সময় পর্যন্ত খুলে রাখা হয়নি মন্দিরের দরজা। নিউ নরমাল পর্যায়ে এই প্রথম কালীপুজো উপলক্ষ্যে মন্দির খোলা রাখার সময়সীমা বাড়ানো হল। এর আগে মন্দির স্বল্প সময়ের জন্য খোলার পর তা বন্ধ রাখা হত। তবে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনেই দর্শণার্থীদের মন্দিরে প্রবেশ করতে হবে বলে জানিয়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। তবে যারা মন্দিরে আসবেন তাদের জন্য মাস্ক পরা ও স্যানিটাইজেশন বাধ্যতামূলক। বেশিক্ষণ মন্দির চত্ত্বরে থাকা যাবে না। মন্দিরের ঘাটে এবং পঞ্চবটী বাগানেও জমায়েত করা ও মন্দিরে পুজোর ফুল নিয়ে ঢোকা যাবে না। এবছর মন্দির কর্তৃপক্ষ ভোগ বিতরণ বন্ধ রাখছে।
সেই সঙ্গে এই প্রথম পুজোর সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। কালীপুজোতে অনলাইনে পুজো দেখার পাশাপাশি অঞ্জলি দিতে পারবে ভক্তরা। আবেদন করলে বাড়িতে পৌঁছে যাবে মায়ের প্রসাদও।
মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, করোনা পরিস্থিতির জেরে অনলাইনে মায়ের পুজো বা সন্ধ্যা আরতি দেখান ব্যবস্থা থাকলেও। প্রতিবছর কালীপুজোর দিনে প্রচুর ভক্ত সমাগম হয়। এ বারও অন্যথা হবে না ধরে নিয়ে প্রস্তুতি সেরে ফেলেছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। প্রশাসনিক তৎপরতায় করোনার স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে মন্দির চত্বর। মন্দিরের একাধিক জায়গায় প্রবেশের ক্ষেত্রে থাকছে নিষেধাজ্ঞা। ছাড়াও মন্দিরের মূল জায়গায় ঢোকার ক্ষেত্রে মাস্ক-স্যানিটাইজার করা হয়েছে বাধ্যতামূলক। অসংখ্য ভক্তের ভিড়ে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে সজাগ নজর রেখেছে পুলিশ-প্রশাসন। জমায়েতে রাতে ফাঁকা ফাঁকা করে গুগোল কাটা হয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফেও। এদিন সকাল থেকেই মন্দিরের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।