মমতার পরিবারের দুর্নীতি ফাঁসের হুঙ্কার, দুর্নীতিপরায়ণ তোপের পাল্টা দিলেন কৈলাশ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা বিজয়বর্গীয়র শাস্তির দাবি তুললেন। এরপরই সাংবাদিক সম্মেলন করে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় পাল্টা হুমকি দিলেন মমতাকে।
দুর্নীতি ইস্যুতে এবার কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে একহাত নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মধ্যপ্রদেশে দুর্নীতি প্রসঙ্গ টেনে এনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির এই কেন্দ্রীয় নেতার শাস্তির দাবি তুললেন। এরপরই সাংবাদিক সম্মেলন করে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় পাল্টা হুমকি দিলেন, এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের দুর্নীতি প্রকাশ্যে আনবেন তিনি।
বুধবার সংহতি দিবসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেয়ো রোডের সভায় কৈলাশ বিজয়বর্গীকে দুর্নীতি পরায়ণ বলে ব্যাখ্যা করেন। প্রশ্ন তোলেন, 'মধ্যপ্রদেশে দুর্নীতির জন্য কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে কোনওদিনও গ্রেফতার করা হয়েছিল? বিজেপির কাছে তিনি এই প্রশ্ন রেখে বললেন, তৃণমূল একটা স্বচ্ছ দল, দুর্নীতিতে ভরা দল হল বিজেপি।'
এ প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, 'মধ্যপ্রদেশের দুর্নীতির জন্য মেয়রের পদ ছেড়ে দিতে হয় কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে। কিন্তু তা্ঁকে গ্রেফতার করা হয়নি। তিনি দেখিয়েছেন রাজ্যে তাঁর দল শাসনক্ষমতায় থাকলেও, তৃণমূল নেতা-কর্মীরা অন্যায় করলে ছেড়ে কথা বলে না। কোনওদিন অন্যায়ের সঙ্গে আপোশ করে না।'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই অভিযোগের প্রত্যুত্তরে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেন, 'আমি ২০০০ সালে মেয়র ছিলাম। এতদিন পরে কেন সেই দুর্নীতি প্রসঙ্গ টেনে আনছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার আমিও মমতার পরিবারের দুর্নীতি প্রকাশ্যে নিয়ে আসব।' বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা প্রশ্ন তোলেন, '১৭ বছর পর হঠাৎ করে তাঁর কেন মনে পড়ল ওই দুর্নীতির কথা। দুর্নীতি যদি হবে মাঝে তো কংগ্রেসের সরকার ছিল। তখনই আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারত। তা তো নেওয়া হয়নি। কোনও দুর্নীতিই প্রমাণিত হয়নি।'
এদিন তিনি সাফ জানিয়ে দেন, 'মমতার ওই ধমকে আমি ভয় পাই না। যে কোনও সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করাতে পারেন। আমি তৈরি। কিন্তু আমি মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের দুর্নীতি সামনে আনব এবার, আপনি তৈরি তো! আপনার মন্ত্রিসভার অর্ধেক সদস্য জেলে যাবে। সব কাগজপত্র আমার কাছে আছে। এখন থেকে তৈরি হন।'