দিলীপ-মুকুলে ভরসা নেই শাহের! তবুও বাংলায় লড়াইটা চলছে নিজেদের মধ্যে, খেদ কৈলাশের
২০১৯-এর লক্ষ্য ব্যাটন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। সেজন্য তিনি নিজের টিম বাংলায় পাঠাবেন- এমন বার্তা দিয়েছিলেন। এবার বঙ্গ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ফের কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়।
দিলীপ ঘোষ-মুকুল রায়দের উপর যে ভরসা নেই তা একপ্রকার বুঝিয়েই দিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। ২০১৯-এর লক্ষ্য ব্যাটন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। সেজন্য তিনি নিজের টিম বাংলায় পাঠাবেন- এমন বার্তা দিয়েছিলেন। এবার বঙ্গ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ফের কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়।
বিজেপির বঙ্গ পর্যবেক্ষক বলেন, নিজেদের মধ্যে ঝগড় ছাড়ুন। লড়াইটা করুন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে কড়া বার্তা দিয়ে তিনি বুঝিয়ে দেন, এখন লড়াইটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হচ্ছে নিজেদের মধ্যে। ফলে তৃণমূল কংগ্রেস মাঝেমধ্যেই যে অভিযোগ করে বিজেপির বিরুদ্ধে, তা যে নেহাতই ফাঁপা আওয়াজ নয়, তা বুঝিয়ে দিলেন বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষকই।
সম্প্রতি বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপর হামলা হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে। তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা শুভেন্দু অধিকারীর এলাকায় বিজেপি সভাপতির নিগৃহীত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। স্বভাবতই অভিযোগ তির উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কিন্তু সেইসঙ্গে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে রাজ্য সভাপতি নিগ্রহের শিকার হয়েছেন বলেও অভিযোগ ওঠে।
অভিযোগ, কাঁথিতে সম্প্রতি নব্য ও আদি দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। সেখানে কার হাতে থাকবে দলের ব্যাটন তা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। বঙ্গ বিজেপির দুই শীর্ষ নেতার অনুগামীদের মধ্যে লড়াই চলছে। এই অবস্থায় কার্যকারিনী সভায় বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক তথা কেন্দ্রীয় সম্পাদক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় কড়া ভাষায় দলের নেতৃত্বকে বিঁধেছিলেন এই একই অসুখের জন্য। তাঁর অভিযোগ, যত না তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই চলছে, তার থেকে বেশি লড়াই চলছে নিজেদের মধ্যে।
বিজয়বর্গীয় জানিয়েছেন, এভাবে চললে কোনওভাবেই তৃণমূলকে হারানো সম্ভব নয়। লড়াইটা যদি নিজেদের মধ্যে হয়, তাহলে সংগঠন বাড়বে না, রাজ্যে বিস্তার লাভও সম্ভবও নয়। আর জয় তো দূর অস্ত। বিজেপিকে দ্বিতীয় হয়েই থেকে যেতে হবে। তৃণমূলকে হারানো দিবাস্বপ্ন হয়েই রয়ে যাবে। নেতা-কর্মীদের মনে একথা বিঁধিয়ে দিয়েছেন বিজয়বর্গীয়। তবু তার ফল মিলছে কই! উল্লেখ্য, কদিন আগেই বঙ্গ বিজেপির আন্দোলন বিমুখতা নিয়ে সরব হয়েছিলেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়।