মেট্রো রেলের এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী কে? সেন্সর থেকে মোটর ম্যান প্রশ্নে সকলের ভূমিকা
মেট্রো রেলে গাফিলতির ঘটনা নতুন নয়। একাধিকবার একাধিক সময় প্রকাশ্যে এসেছে গাফিলতির ছবি। খুব সাম্প্রতিক কালের মেট্রো রেলের আগুন লাগার ঘটনাই উল্লেখ করা যাক। সুড়ঙ্গে মধ্যে গতিমান মেট্রোয় আগুনে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বহু যাত্রী। ময়দান মেট্রো স্টেশনের সেদিন আগুন আর ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন খুব কম করে হলেও ১৬ জন যাত্রী। সুড়ঙ্গে আটকে থাকার আতঙ্ক এখনও অনেক যাত্রীই কাটিয়ে উঠতে পারেনি।

এরপরেও যে খুব একটা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে তা নয়। ছোটখাট হলেও আগুন লাগার ঘটনা তার পরেও ঘটেছে।
দরজা না খোলা। এসি রেকে এসি না চলা। দম বন্ধকরা এরকম পরিস্থিতি বহুবার ঘটেছে। ঘটে চলেছে। প্রতিবারই যাত্রী সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েেছ মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শনিবারের পার্কস্ট্রিট মেট্রো স্টেশনের এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল অবস্থা যে তিমিরে ছিল সে তিমিরেই রয়ে গিয়েছে।
খোলা দরজা নিয়ে মেট্রোর ছুটে চলার আতঙ্কের সফরের পর এবার শহরবাসী সাক্ষী থাকল আরও এক আতঙ্কের। চোখের সামনে যাত্রীর মর্মান্তিক পরিণতি হতে দেখেও কিছু করে উঠতে পারল না ট্রেনের ভেতরে থাকা যাত্রীরা। আপতকালীন বেল বাজিয়েও মেট্রো থামাতে পারলেন না তাঁরা।
প্রশ্ন উঠছে সেসময় কোথায় ছিলেন পার্কস্ট্রিেটর মত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্টেশনের নিরাপত্তা রক্ষীরা। আত্মহত্যা রুখতে প্রতিমেট্রোতেই নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন থাকে। পার্কস্ট্রিট মেট্রো স্টেশনে সেই নিরাপত্তা এবং নজরদাির আবার একটু বেশিই হয়। তাহলে সেসময় কোথায় ছিলেন নিরাপত্তা রক্ষীরা।
প্রশ্ন উঠছে সেন্সার অ্যালার্ম নিয়েও। কেন কাজ করল না সেন্সর অ্যালার্ম। প্লাটফর্ম এবং ট্রেনের যাত্রীদের চিৎকারেও কি চালক এবং গার্ড বিপদ আঁচ করতে পারলেন না। সাধারণত ট্রেন ছাড়ার আগে উঁকি দিয়ে একবার দেখে নেন মোটরম্যান। তারপরে সবুজ সঙ্কেত দেন। তাহলে কী পার্কস্ট্রিট স্টেশনের মোটর ম্যান না দেখেই সিগন্যাল দিয়ে দিয়েছিলেন?
[আরও পড়ুন:দরজায় আটকে যাত্রীর হাত, বাইরে দেহ নিয়েই ছুটল মেট্রো, মর্মান্তিক মৃত্যু যাত্রীর]
সেন্সর দরজার কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কারণ যে রেকে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি অত্যাধুনিক এসি রেকের। মেট্রো কর্তৃপক্ষের দাবি ছিল এই রেকের দরজা একটি কাগজও সেন্সর করতে পারে। অথচ একজন মানুষের হাত সেন্সর করতে পারল না দরজা। এবার কী বলবেন মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। আর কবে ফিরবে হুঁশ? আর কবে সুরক্ষিত থাকবেন যাত্রীরা?