তৃতীয় ফ্রন্ট নাকি একের বিরুদ্ধে এক! মমতাকে পাশে নিয়ে কেসিআর দিলেন ‘ভালো খবর’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকে বলে আসছেন একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থীর তত্ত্ব। আর কে চন্দ্রশেখর রাও দ্বিতীয়বার নবান্নে এলেন আসন্ন ২০১৯ লোকসভায় অ-কংগ্রেসি, অ-বিজেপি জোট তৈরির লক্ষ্য নিয়ে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকে বলে আসছেন একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থীর তত্ত্ব। আর তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও দ্বিতীয়বার নবান্নে এলেন আসন্ন ২০১৯ লোকসভায় অ-কংগ্রেসি, অ-বিজেপি জোট তৈরির লক্ষ্য নিয়ে। তিনি ইতিমধ্যেই ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসেছেন, আবারও তিনি মমতা-সকাশে বার্তা দিলেন ফেডেরাল ফ্রন্টের।
ধৈর্য্য ধরুন, ভালো খবর আসছে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে চন্দ্রশেখর রাও বলেন, ধৈর্য্য ধরুন, ভালো খবর অপেক্ষা করছে। তিনি কোনও রাখঢাক না রেখেই বলেন, আমরা দুই রাজ্যের দুই মুখ্যমন্ত্রী আলোচনা করেছি সাম্প্রতিক ও ভবিষ্যৎ রাজনীতি নিয়ে। আমাদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। যা আলোচনা হয়েছে, তা ভালোর জন্যই হবে।
অ-কংগ্রেসি অ-বিজেপি জোট চিত্র
কেসিআরের এই মন্তব্যই জল্পনা বাড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তাঁর মন্তব্য ইঙ্গিত করছে, তিনি যে লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছিলেন, তা অনেকটাই সফল। অর্থাৎ, অ-কংগ্রেসি অ-বিজেপি জোট চিত্রটা তিনি স্পষ্ট করে তুলেছেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ এর আগে তিনি ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও আলোচনা করেছেন।
তৃতীয় ফ্রন্ট বা ফেডেরাল ফ্রন্টই আলোচ্য
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনার মূল বিষয়বস্তু তৃতীয় ফ্রন্ট বা ফেডেরাল ফ্রন্ট ছিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এর আগে কে চন্দ্রশেখর রাও মার্চ মাসে এসেছিলেন কলকাতায়। নবান্নে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অ-কংগ্রেসি অ-বিজেপি জোটের কথা বলে গিয়েছিলেন।
মাঝে সমর্থন বিজেপিকে
কিন্তু এরপর থেকেই বিরোধী জোটের ছবি থেকে চন্দ্রশেখর রাও হঠাৎ উধাও হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি বিজেপির দিকেই হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন সাহায্যের। নানা ইস্যুতে বিজেপির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তবে পরে তেলেঙ্গানাকে স্পেশাল স্ট্যাটাস প্রশ্নে বিজেপির সঙ্গে মনোমালিন্য হতে ফের বিজেপি-সঙ্গ ছেড়ে দেন।
ভোটে জিতে তৃতীয় ফ্রন্টের দাবি
জনমত নিয়ে বিধানসভা ভেঙে দিয়ে ভোট ঘোষণা করেন। সেই ভোটে বিপুলভাবে জিতে তিনি ফের তৃতীয় ফ্রন্টের জিগির তুলেছেন। এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে দরজায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আমন্ত্রণ জানিয়েছে হায়দরাবাদ যাওয়ার জন্য। অনেক আঞ্চলিক দলই কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিজেপি-বিরোধী জোট করতে আগ্রহী। সেই তালিকায় নাম রয়েছে কেসিআরের।
|
রাজ্যে রাজ্যে তৃতীয় ফ্রন্টের তৎপরতা
কেসিআর যেমন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করতে এসেছিলেন, একইভাবে দুদিন আগে জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা নবান্নে এসে সাক্ষাৎ করে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। এসেছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুও।