কর্মীদের ক্ষমা চাইতে বললেন মমতা ঘনিষ্ঠ নেতা! কারণ জানলে অবাক হবেন
সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে দলের কর্মীদের ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শ দিলেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে দলের কর্মীদের ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শ দিলেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তবে এই ক্ষমা চাওয়ার কারণটাও বেশ উদ্ভট। সূত্রের খবর অনুযায়ী, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেছেন, যেখানে মানুষ ভোট দিতে বাধা পেয়েছেন, তাঁদের কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে।
পঞ্চায়েত ভোটের অনেক আগেই বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতি বলেছিলেন রাস্তায় উন্নয়ন দাঁড়িয়ে থাকবে। মনোনয়ন জমা থেকে শুরু করে ভোটের দিন এমন কী গণনার দিনে গণনা কেন্দ্রেও 'উন্নয়ন' দাঁড়িয়ে ছিল অভিযোগ ছিল বিরোধীদের। আর রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা উন্নয়নের জেরে কোনও কোনও জায়গায় যে শাসক দলের ভোট বাক্সে আস্বাভিক প্রভাব পড়েছে তা নিয়ে দলের অন্দরেই প্রশ্ন তুলেছেন অনেক নেতা।
তেমনই একটি জেলা উত্তর ২৪ পরগনা। ভোটের প্রাক্কালে সেরকম কোনও গণ্ডগোলের খবর পাওয়া না গেলেও, ভোটের দিন এই জেলা থেকে ব্যাপক গণ্ডগোলের খবর পাওয়া গিয়েছিল। ভোটের ফলে দেখা যায় ২০১৬-র নির্বাচনের তুলনায় তৃণমূলের ভোট বেড়েছে প্রায় ৭ শতাংশ। আর দু-বছরে দলের ভোট বৃদ্ধি হয়েছে ২২ শতাংশ। দলের অন্দরেই এই ভোট বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কেউকেউ।
নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের বর্ধিত কোর কমিটির বৈঠকের পর এবার জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে কোর কমিটির বৈঠক। উত্তর ২৪ পরগনায় এরকমই একটি কোর কমিটির বৈঠক ছিল রবিবার। হাজির ছিলেন তৃণমূলের সাংসদ, বিধায়ক, পুরপ্রতিনিধিরা। সূত্রের খবর অনুযায়ী সেখানেই ভোট বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন দলের বিধায়ক রথীন ঘোষ। তিনি বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে উত্তর ২৪ পরগনার অনেক জায়গাতেই সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারেননি। পরবর্তী নির্বাচনে এর প্রভাব পড়তে পারে বলে সতর্ক করেন তিনি।
এই সময়ই তৃণমূল কর্মীদের কাছে পঞ্চায়েত ভোট কাণ্ড নিয়ে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের একাংশ এই ঘটনাকে যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন। এই ধরনের কথা তৃণমূলের অন্য জেলার তরফেও বলা হয় কিনা এখন সেটাই দেখার।