জ্যোতি বসুও সহমত ছিলেন সোমনাথের সঙ্গে! বহিষ্কার-বিতর্ক উসকে নবতম সংযোজন
১০ বছর আগের একটা সিদ্ধান্ত। যে সিদ্ধান্তের ফলে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের মতো নেতাকে পর্যন্ত বহিষ্কৃত হতে হয়েছিল, সেই বিতর্কের অবসান হল না তাঁর মৃত্যুতেও।
১০ বছর আগের একটা সিদ্ধান্ত। যে সিদ্ধান্তের ফলে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের মতো নেতাকে পর্যন্ত বহিষ্কৃত হতে হয়েছিল, সেই বিতর্কের অবসান হল না তাঁর মৃত্যুতেও। বরং সেই বিতর্ককে আরও উসকে দিলেন সোমনাথ-কন্যা অনুশীলা বসু। তিনি সাফ জানালেন, বাবা লোকসভার স্পিকার হিসেবে সেদিন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, সেই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত ছিলেন জ্যোতি বসুও।
অনুশীলার কথায়, বাবা যাঁকে রাজনৈতিক গুরু হিসেবে মানতেন, সেই জ্যোতি বসু সমর্থন জানিয়েছিলেন বাবাকে। বাবা তো জ্যোতি বসুকে দেখেই রাজনীতিতে এসেছিলেন। বামপন্থাকে আঁকড়ে ধরেছিলেন। হ্যাঁ, প্রমোদ দাশগুপ্ত, স্নেহাংশু আচার্য-রা বাবাকে সিপিএমে এনেছিলেন ঠিকই, কিন্তু বাবা এসেছিলেন জ্যোতি বসুকে দেখেই। তাঁকেই রাজনৈতিক গুরুর মর্যাদা দিয়েছিলেন।
২০০৮ সালের ২৩ জুলাই সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে বহিষ্কার করা হয়। তার আগে ইউপিএ-১ সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয় সিপিএম। ইউপিএ-১ সরকারে লোকসভার স্পিকার ছিলেন সিপিএম সাংসদ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। দলের হুইপ অমান্য করে তিনি স্পিকার পদ ছাড়েননি। তিনি জানিয়েছিলেন, এটা একটা সাংবিধনিক পদ।
[আরও পড়ুন:সোমনাথ-প্রয়াণে কেন ব্রাত্য রয়ে গেল আলিমুদ্দিন, খোলসা করলেন স্বয়ং কন্যা অনুশীলা]
তিনি ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন, তাঁর কাছে সাংবিধানির দায়িত্ববোধ সবার আগে। দল তাঁকে রেয়াত করেনি। বহিষ্কার করা হয়েছিল তাঁকে। তিনি দুঃখ পেয়েছিলেন। একরাশ অভিমান নিয়ে সরে গিয়েছিলেন রাজনীতি থেকে। ২০০৯ পর্যন্ত তিনি স্পিকারের দায়িত্ব সামলেছিলেন। দায়িত্ববোধের পরিচয় দিয়ে স্থাপন করেছিলেন দৃষ্টান্ত। তারপর সন্ন্যাস নিয়েছিলেন রাজনীতি থেকে। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি তাঁর সিদ্ধান্ত বদলাননি। নিজেকে এক উচ্চাসনে অধিষ্ঠিত করে তিনি বিদায় জানালেন পৃথিবীকে।
[আরও পড়ুন: ইচ্ছাপূরণ হল না প্রয়াণেও, সোমনাথের শুরু নির্দল হিসেবে, চলেও গেলেন 'দলহীন' হয়ে ]