অখিল গিরির ছেলে সুপ্রকাশের বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে চেয়ারম্যান পদ পাওয়ার অভিযোগ, হাইকোর্টে মামলা
অখিল গিরির ছেলে সুপ্রকাশ গিরির বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার। সমবায় উন্নয়ন সমিতিতে বেআইনি ভাবে চেয়ারম্যান পদ নেওয়ার অভিযোগ। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এই এফআইআর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যা নিঃসন
আইনি জটিলতায় অখিল গিরির ছেলে সুপ্রকাশ গিরি! তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করা যায় কিনা তা মন্দারমনি থানার পুলিশকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার। সমবায় উন্নয়ন সমিতিতে বেআইনি ভাবে চেয়ারম্যান পদ নেওয়ার অভিযোগ। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই আইনি জটিলতা। যা নিঃসন্দেহে রাজ্যের কারা প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরির ছেলের কাছে চাপের বলেই মনে করা হচ্ছে।
যদিও এই বিষয়ে সুপ্রকাশ গিরি ফেরসবুকে জানিয়েছেন, '' আমার নামে অসত্য তথ্য প্রকাশ করে নিউজ করে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে''
জানা যাচ্ছে, কাঁথি দুবলাবাড়ি টেঙড়ামারি সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান ছিলেন সুপ্রকাশ। ওই সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির সদস্য কৃত্তিবাস মাইতির নাম মুছে দেওয়ার অভিযোগ। শুধু তাই নয়, সেই নাম মুছে তাঁর জায়গাতে সুপ্রকাশের নাম দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
আর তা নিয়েই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা শেখ মুক্তার আলির। কেন কৃত্তিবাস মাইতির নাম মুছে দেওয়া হল এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে দাবি করেই মামলা শেখ মুক্তার আলির। বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার এজলাসে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। আজ মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়।
দীর্ঘ শুনানিতে বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা সুপ্রকাশের বিরুদ্ধে কেন FIR নয় তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
অন্যদিকে
মামলাকারীর
বক্তব্য,
সমবায়
আইনে
বলা
হয়েছে
যেখানে
সমবায়
সেই
এলাকার
তো
বটেই,
অন্যান্য
পাশের
চার
গ্রামের
বাসিন্দা
না
হলে
সমবায়ের
সদস্য
হওয়া
যায়
নয়।
চাষি
ছাড়া
সদস্যও
হতে
পারে
না
এমনটাই
আইনে
বলা
হয়েছে
বলেও
দাবি
মামলাকারীর।
অন্যদিকে
জানা
যাচ্ছে,
সুপ্রকাশ
গিরি
আটলাগুড়ির
বাসিন্দা।
ফলে
আইনে
আগেই
সমবায়
সমিতির
সদস্য
হওয়া
থেকে
বাদ
পড়ে
যাচ্ছেন
রাজ্যের
মন্ত্রীর
ছেলে।
কিন্ত
এখানে
মন্ত্রীর
ছেলে
বলেই
কী
সুবিধা?
প্রশ্ন
তোলেন
মামলাকারী।
আর এরপরে পালটা বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার প্রশ্ন, ২৮/১১ তারিখ এফআইয়ার হওয়ার পরেও সুবিধা পেয়েছেন তাঁর নাম কেন দেওয়া হয়নি? প্রয়োজনে ফরেন্সিকের সাহায্য নিয়ে দেখা যেতে পারে সাদা কালি ব্যবহার করে কিভাবে কারচুপি হয়েছে?
বলে রাখা প্রয়োজন, গত কয়েকদিন আগেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে কু-মন্তব্য করে বসেন সুপ্রকাশ গিরি। যা নিয়ে একেবারে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য-রাজনীতি। সর্বস্তরে রাজ্যের মন্ত্রীর গ্রেফতারের দাবি ওঠে। আর এই বিতর্কের মধ্যেই এবার ছেলে সুপ্রকাশ গিরিও আইনি জটিলতাতে জড়ালেন।
আরও ৪০ বেআইনি চাকরি সুপারিশ! বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, 'এটা কোন ভূতের কাজ নয়'