'পরীক্ষা বন্ধ করে দেব...', প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে হুঁশিয়ারি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের
নিয়োগ নিয়ে একের পর এক দুর্নীতি সামনে এসেছে! কার্যত ল্যাজেগোবরে অবস্থা রাজ্য সরকারের। যদিও সমস্ত অভিযোগকে সরিয়ে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে রাজ্যে। আগামী ১১ ডিসেম্বর রাজ্যে টেট পরীক্ষা হবে। ইতিমধ্যে এই সংক্রান্ত ব
নিয়োগ নিয়ে একের পর এক দুর্নীতি সামনে এসেছে! কার্যত ল্যাজেগোবরে অবস্থা রাজ্য সরকারের। যদিও সমস্ত অভিযোগকে সরিয়ে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে রাজ্যে। আগামী ১১ ডিসেম্বর রাজ্যে টেট পরীক্ষা হবে। ইতিমধ্যে এই সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
আর এর মধ্যে পর্ষদকে নজিরবিহীন হুঁশিয়ারি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। এমনকি পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি তাঁর। আর এরপরেই পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বলে রাখা প্রয়োজন, টেট সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি হয় আজ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে।
আর সেই মামলার শুনানি চলাকালীনই এহেন হুঁশিয়ারি বিচারপতির। তিনি বলেন, পর্ষদ বন্ধুর মতো আচরণ করছে না। আমি আমার আগের মন্তব্য প্রত্যাহার করছি, যেখানে বলেছি নিয়োগে বাধা দেব না। এখন যদি দেখি আইন মানা হচ্ছে না পরীক্ষা বন্ধ করে দেব। বলে রাখা প্রয়োজন, এর আগে নিয়োগ প্রক্রিয়াতে বাধা হবেন না বলে মন্তব্য করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
এমনকি মামলা হলেও তা আলাদা ভাবেই চলবে বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। বিশেষ করে নিয়োগের জন্যই চাকরি প্রার্থীদের এত লড়াই, তাই নিয়োগে বাধা দেবেন না বলে উল্লেখ করেছিলেন। কিন্ত্য আজ বুধবার মামলার শুনানিতে কার্যত পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয় হাইকোর্ট। আর তা কার্যত স্পষ্ট বিচারপতির বক্তব্যে।
বলে রাখা প্রয়োজন, নম্বর নিয়ে বেশ কিছু সমস্যা হয়। বিশেষ করে যেখানে ২০১৭ সালের টেট প্রার্থীরা যেখানে ৮২ নম্বর পেয়েই উত্তীর্ন হচ্ছেন সেখানে ২০১৪-র টেট প্রার্থীদের ক্ষেত্রে তা হয়নি। আর এই বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ করেই মামলা হয়। শুধু তাই নউ, ওএমআর সিটের নম্বর এবং তালিকাতে দেওয়া নম্বরও বদলে গিয়েছে। ২০১৭-র ৮২ নম্বর পাওয়া সংরক্ষিত প্রার্থীদের উত্তীর্ণ বলে ঘোষণা করা হলেও ২০১৪-র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে তা হয়নি বলেও অভিযোগ।
আর এই অবস্থা দেখে রীতিমত হতাশ হন বিচারপতি আর এরপরেই এহেন হুঁশিয়ারি। তবে কলকাতা হাইকোর্টের এহেন হুঁশিয়ারি ঘিরে আশঙ্কার একটা কালো মেঘ তৈরি হয়েছে পরীক্ষারথীদের মধ্যে। বলে রাখা প্রয়োজন, আগামী ১১ ডিসেম্বর রাজ্যে টেট পরীক্ষা হবে। প্রায় ১১ হাজার শূন্যপদে এই নিয়োগ করা হবে।
ইতিমধ্যে এই পদের জন্যে প্রায় ৭ লাখ আবেদন জমা পড়েছে। এই অবস্থায় বিতর্ক ছাড়াই এই নিয়োগ করা বড় চ্যালেঞ্জ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্যকে জেরা ইডির