
বোর্ডকেই ইন্টারভিউয়ের ব্যবস্থা করতে হবে! ভুল প্রশ্ন-কাণ্ডে নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
টেট দুর্নীতি-কাণ্ডে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে একহাত নিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার এক মামলায় তিনি বোর্ডকে নিশানা করেন। বলেন, বোর্ডের ভুল, বোর্ডকেই খেসারত দিতে হবে। প্রাথমিক পর্ষদকে এখন লোকে দুর্নীতি আর বেআইনি কাজের আখড়া বলে মনে করে। তাঁর সাফ কথা, তাঁদেরকেই বঞ্চিত ব্যক্তিকে চাকরির বন্দোবস্ত করতে হবে।

এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় টেটের ছয় নম্বর প্রশ্ন ভুল মামলায় বয়স পেরিয়ে যাওয়া ব্যক্তির নতুন করে ইন্টারভিউ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলাকারী নেফাউর শেখ ২০১৪ সালে পরীক্ষা দেন। ২০১৬ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যায়। কিন্তু তিনি উত্তীর্ণ হতে পারেননি। পরে তিনি ছয় নম্বর প্রশ্ন ভুল ছিল বলে মামলা করেন। এরপর বোর্ড ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে জানায় তিনি ছয় নম্বর পেয়েছেন। কিন্তু ততদিনে নেফাউরের বয়স পেরিয়ে গেছে। ফলে চাকরি থেকে তিনি বঞ্চিত হবেন বয়সের কারণে।
তিনি বলেন, এই ভুল সম্পূর্ণ বোর্ডের। ফলে তিনি ফের মামলা করেন। বোর্ডের ভুলেই তিনি চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এরপর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, প্রাইমারি বোর্ড একটা একটা ইন্টারভিউ বোর্ড গঠন করুক। ২০১৬ এর গাইড লাইন অনুযায়ী ইন্টারভিউ নিতে হবে। এবং ইন্টারভিউয়ে পাস করতে চাকরির বন্দোবস্ত করতে হবে।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, চার সপ্তাহের মধ্যে ইন্টারভিউ নিতে হবে। সেই ইন্টারভিউয়ে বোর্ড প্রাপ্ত নম্বর দেবে, তারপর ইন্টারভিউয়ে উত্তীর্ণ হলে চাকরি দিতে হবে বোর্ডকেই। এবং বিচারপতির নির্দেশ, তাঁকে ট্রেন্ড ক্যান্ডিডেট হিসেবে ধরা হবে। এবং এ ব্যাপারে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে হলফনামা আকারে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। ৩০ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। তার আগেই বোর্ডকে সমস্ত প্রক্রিয়া সেরে রিপোর্ট জমা দিতে হবে বলে জানান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
Changes From 1st November: ১ নভেম্বর থেকে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন, যার প্রভাব পড়তে পারে পকেটে
২০১৪ সালের প্রাইমারি টেট পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে মোট ৬টি প্রশ্ন ভুল ছিল। ফলে ইতিরিক্ত ৬ নম্বর পান ওই চাকরিপ্রার্থী। কিন্তু যখন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ভুল ভাঙে, ততদিন চাকরির বয়স পেরিয়ে গিয়েছে। তারপরই আদালতের দ্বারস্থ হলে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বোর্ডকে নির্দেশ দেন, আপনারা ভুল করেছেন আপনাদেরকেই খেসারত দিতে হবে। শুধরাতে হবে ভুল। তার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের মহামান্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় একেবারে সময় বেঁধে দিয়েছেন। এই অবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবার কী অবস্থান নেয়, তা-ই দেখার।