রাত নামলেই ভূতের রাজ কলকাতা হাইকোর্টে! এজলাসে বসেই গল্প শোনালেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
কলকাতার এমন অনেক স্থান রয়েছে, যেখানে সন্ধ্যা নামলেই ঘুরে বেড়ায় অশরীরী আত্মারা। ভূতের এহেন উপদ্রবের গল্প শোনা যায় মহাকরণ থেকে ন্যাশনাল লাইব্রেরি-সহ বহু স্থানে। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট নিয়ে এমন কথা আগে শোনা যায়নি।
কলকাতার এমন অনেক স্থান রয়েছে, যেখানে সন্ধ্যা নামলেই ঘুরে বেড়ায় অশরীরী আত্মারা। ভূতের এহেন উপদ্রবের গল্প শোনা যায় মহাকরণ থেকে ন্যাশনাল লাইব্রেরি-সহ বহু স্থানে। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট নিয়ে এমন কথা আগে শোনা যায়নি। মঙ্গলবার এক মামলা চলাকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখে শোনা গেল সেই ভূতের গল্প।
রাত নামলে ভূতের দেখা হাইকোর্টে
কলকাতা হাইকোর্টের এমন ঘটনা শুনলে অনেকেই অবাক হবেন। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টেও যে রাত নামলে ওঁদের ঘোরাফেরা চাক্ষুষ করেছেন অনেকে, সেই গল্প শোনা যায়। কলকাতার বহু হেরিটেজ বাড়ির মতো হাইকোর্টেও রাত নামলে ভূতের দেখা মেলে। এদিন খোদ বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় এজলাসে বসে শোনালেন সেই ভূতের কাহিনি।
হাইকোর্টে ভূতের কাহিনি হঠাৎ প্রকট
কিন্তু হঠাৎ কেন কলকাতা হাইকোর্টে ভূতের কাহিনি সামনে এল? কেনই বা তা উত্থাপন করলেন বিচারপতি স্বয়ং? মঙ্গলবার ২০১৪ সালের টেট-প্রার্থীদের মামলার শুনানির শেষে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদের আইনজীবীকে বলেন, সুপ্রিম কোর্ট যে ২৬৯ জন টেট-প্রার্থীকে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে, তাঁদের মামলাগুলি বিকেল চারটে থেকে সাতটা পর্যন্ত শোনা যেতে পারে। তারপরই সামনে আসে ভূতের তত্ত্ব।
প্যাঁচানো সিঁড়িতে অশরীরী আত্মার উপস্থিতি!
বিচারপতির সেই কথা শুনেই এক আইনজীবী বলে ওঠেন, সন্ধ্যের পর মামলা চলবে! কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের রাত মানেই তো ভয়ঙ্কর। অতৃপ্ত আত্মার আনাগোনা। তখন খোদ বিচারপতি বলেন, এ কথা অবশ্য ঠিক। এরপর তিনিই বলেন, কলকাতা হাইকোর্টের ১১ নম্বর এজলাসের পাশে প্যাঁচানো সিঁড়িতে অশরীরী আত্মার উপস্থিতি রয়েছে।
হুদিনের পুরনো সেই কাহিনি
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, বহুদিনের পুরনো সে কাহিনি। এই সিঁড়ির ভূতুড়ে গল্পের কথা আমিও জানি। তিনি জানান, কয়েক বছর আগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিন রাতে কলকাতা হাইকোর্টের এক নিরাপত্তাকর্মী বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এসে জানান, প্যাঁচানো সিঁড়িটি দিয়ে নামার সময়ে তাঁকে কেউ পিছন থেকে ধাক্কা দিয়েছে।
ভূতের কাণ্ডকারখানা আগেও দেখেছিলেন পুলিশকর্মী
সেই কেউ আর অন্য কেউ নন, তিনি যে অশরীরী আত্মার কথাই বলছেন তাও জানান। এমনকী তিনি ভূতের কাণ্ডকারখানা আগেও দেখেছেন, তাও জানান। তারপর থেকেই সিঁড়ির ওই পথ রাত নামার আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমনকী সেখানে পুলিশকর্মীর সংখ্যাও বাড়ানো হয়। তবে কলকাতা হাইকোর্টের শুধু ওই প্যাঁচানো সিঁড়িতেই অশরীরীর আনাগোনা দেখা গিয়েছে। অন্যত্র নয়।
বেশ চর্চা শুরু হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে
স্বয়ং বিচারপতির মুখ থেকে এই গল্প শোনার পর শোরগোল পড়ে গিয়েছে হাইকোর্ট চত্বরে। কলকাতায় হাইকোর্টের অলিন্দে তেমন শোনা যায় না এই গল্প। মহাকারণ, ন্যাশনার লাইব্রেরি, হেস্টিংস হাউসের পর আরও একটি হেরিটেজ বিল্ডিংয়ে এমন ঘটনা শোনা গেল। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এজলাসে বসে তা শোনানোর পর বেশ চর্চা শুরু হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ভূতুড়ে কাণ্ড কারখানা নিয়ে।
দীপাবলির পরেই ছুটছে শেয়ার বাজার, দালাল স্ট্রিটে খুশির হাওয়া