অপসারিত খোদ টিএমসিপি সভানেত্রী! ছাত্রভর্তিতে তোলাবাজির ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ তৃণমূলের
ছাত্র-ভর্তিতে তোলাবাজির জেরে অপসারিত হতে হল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভানেত্রী জয়া দত্তকে। বুধবার তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
ছাত্র-ভর্তিতে তোলাবাজির জেরে অপসারিত হতে হল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভানেত্রী জয়া দত্তকে। বুধবার তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। জয়াদেবীর বিরুদ্ধে মূলত অভিযোগ, তিনি কড়া হাতে তোলাবাজির মোকাবিলা করতে পারেননি। অনেক কলেজেই টিএমসিপি ইউনিটের সদস্যরা তোলাবাজিতে সরাসরি জড়িত ছিলেন।
সেই পরিপ্রেক্ষিতেই টিএমসিপি সভানেত্রীকে সরিয়ে বার্তা দেওয়া হল অন্যদেরও। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, সাত থেকে ১০ দিনের ভিতরেই নতুন টিএমসিপি সভাপতি বা সভানেত্রীর নাম ঘোষণা করা হবে। আর একইসঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে অপসারিত তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভানেত্রী জয়া দত্তকে অন্য সংগঠনের কাজে ব্যবহার করা হবে।
এবার কলকাতা-সহ রাজ্যের বহু কলেজে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তির নামে বাড়তি টাকা আদায়ের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে। এই তোলাবাজির অভিযোগে রাজ্য রাজনীতি সরগরম হয়ে ওঠে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং ময়দানে নামেন। তিনি নিজে কলেজে গিয়ে পরিদর্শন করেন। শিক্ষামন্ত্রী কলেজে কলেজে পরিদর্শনে যান।
এরপরই কলকাতার চার-পাঁচটি কলেজের ছাত্র ইউনিট ভেঙে দেওয়া হয়। তৃণমূলের ছাত্রনেতা গ্রেফতারও হন। এদিন খোদ সভাপতিকেই সরিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। বিরোধীদের সমালোচনার মুখ বন্ধ করে দেয় একেবারে। চটজলদি ব্যবস্থা নিয়ে এমন দৃঢ় পদক্ষেপের অর্থ ছাত্রভর্তিতে অন্য ছাত্র নেতারা যেন সমঝে চলেন। তা না হলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুবার ভাববে না তৃণমূল কংগ্রেস।