পশ্চিমবঙ্গ মহিলাদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ রাজ্য, বিজেপির চোখে চোখ রেখে মমতাকে দরাজ সার্টিফিকেট 'ধন্যি মেয়ের'
পশ্চিমবঙ্গ মহিলাদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ রাজ্য, বিজেপির চোখে চোখ রেখে মমতাকে দরাজ সার্টিফিকেট 'ধন্যি মেয়ের'
পশ্চিমবঙ্গ মেয়েদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ রাজ্য। মুম্বই থেকে উড়ে এসে নারী নিরাপত্তা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন সমাজবাদী পার্টি সাংসদ জয়া বচ্চন। তিনি জানিয়েছেন একা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর লড়াইকে শক্তি যোগাতেই দলের নির্দেশে তিনি বাংলায় এসেছেন। বারবর প্রবাসে থাকলেও তিনি বাঙালি। আমার গণতান্ত্রিক অধিকার কেউ আমার থেকে কেড়ে নিতে পারবে না প্রকাশ্যে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন জয়া।
মমতার হয়ে প্রচারে জয়া
গতকালই
তিনি
শহরে
পা
রেখেছেন।
তৃণমূল
কংগ্রেসের
হয়ে
রাজ্যে
পর
পর
তিনদিন
প্রচার
করবেন
জয়া
বচ্চন।
সোমবার
তৃণমূল
ভবনে
সাংবাদিক
বৈঠক
করেন
তিনি।
দোলা
সেন
এবং
পূর্নেন্দু
বসু
তাঁকে
সঙ্গে
নিয়ে
সাংবাদিক
বৈঠক
করেন।
তাঁকে
সংবর্ধনাও
জানানো
হয়।
সেই
সঙ্গে
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
হয়ে
রাজ্যে
প্রচারে
আসান
জন্য
ধন্যবাদও
জানানো
হয়
জয়া
বচ্চনকে।
তিনদিন
প্রচার
করবেন
তিনি।
মমতা মুখ্যমন্ত্রী হলে আর উন্নতি হবে
প্রথম সাংবাদিক বৈঠকেই বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন জয়া বচ্চন। আমার গণতান্ত্রিক অধিকার। আমার ধর্ম কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। হুঙ্কার দিয়েছেন সমাজবাদী পার্টি নেত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একা গণতন্ত্র রক্ষার জন্য লড়াই করে চলেছেন। তাঁর লড়াইকে সমর্থন জানাতে আর শক্তি যোগাতেই তাঁর বাংলায় আসা বলে জানিয়েছেন। বারবর প্রবাসী বাঙালি হলেও আদতে তিনি বাঙালিই। তিনি যে বহিরাগত নন সেকথা ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন জয়া। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হলে ভালই হবে এমনই দাবি করেছেন তিনি।
মমতাকে দরাজ সার্টিফিকেট
প্রথম সাংবাদিক বৈঠকেই তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীকে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছেন জয়া। তিনি বলেছেন এখানে অভিনয় করতে আসিনি। একা মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ে সামিল হতে এসেছিল। তাঁর লড়াইকে সমর্থন করি। পশ্চিমবঙ্গ মহিলাদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ রাজ্য। বিজেপিকে একপ্রকার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন জয়া। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বিজেপি প্রচারে বারবার বাংলার নারী নির্যাতন নিয়ে সরব হয়েছে। বাংলায় নারী সুরক্ষা নেই বলে দাবি করে এসেছেন বিজেপি নেতারা। সেখানে বাংলার নারীদের লাঞ্ছনার স্বীকার হতে হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
মিঠুনের পাল্টা জয়া
অখিলেশ যাদবের নির্দেশেই তিনি বাংলায় প্রচারে এসেছেন বলে জানিয়েছেন জয়া বচ্চন। যদিও রাজনীতিকরা মনে করছেন মিঠুনের মোকাবিলায় জয়া বচ্চনকে নিয়ে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ব্রিডেেগর মাঠে বিজেপিতে যোগ দিয়ে মিঠুন তৃণমূল কংগ্রেসকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন। এবার সেই পথেই জয়া বচ্চনকে প্রচারের ময়দানে নামিয়ে পাল্টা টক্কর দিতে চাইছে শাসক দল।