মমতা ‘ডাক’ দিলেই বাংলা ফিরবেন ‘ধন্যি মেয়ে’! নয়া চমকে জল্পনা চড়ছে তৃণমূলে
সব কিছু ঠিকঠাক চললে বচ্চন-ঘরণী এবার তৃণমূলের টিকিটে রাজ্যসভায় যেতে পারেন। এই মুহূর্তে রাজনৈতিক মহলে জয়ার তৃণমূল যোগ নিয়ে জোর জল্পনা চলছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সঙ্গে বচ্চন পরিবারের সম্পর্ক বেশ গভীরই। সেই সম্পর্ক আরও মজবুত হতে পারে আগামী এপ্রিলে। সব কিছু ঠিকঠাক চললে বচ্চন-ঘরণী এবার তৃণমূলের টিকিটে রাজ্যসভায় যেতে পারেন। এই মুহূর্তে রাজনৈতিক মহলে জয়ার তৃণমূল যোগ নিয়ে জোর জল্পনা চলছে। জয়া বচ্চনের তরফ থেকেই প্রস্তাবটা এসেছে। এখন স্রেফ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহমতের অপেক্ষা।
আগামী এপ্রিলে বাংলার পাঁচ সাংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এই তালিকায় রয়েছেন মুকুল রায়, কুণাল ঘোষ, নাদিমূল হক, বিবেক গুপ্তা ও তপন সেন। একই সঙ্গে শেষ হচ্ছে জয়া বচ্চনের সাংসদ পদের মেয়াদও। তিনি বর্তমানে সমাজবাদী পার্টির সাংসদ। উত্তরপ্রদেশ থেকে তিনি সমাজবাদীর সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। বাংলার পাঁচ সাংসদের সঙ্গে উত্তর প্রদেশেও ছয় সাংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
কিন্তু উত্তর প্রদেশের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থায় উত্তর প্রদেশে একজনের বেশি সাংসদকে সমাজবাদী পার্টি রাজ্যসভায় পাঠাতে পারে। সেই অর্থে জয়া বচ্চনের কোনও সম্ভাবনা নেই সমাজবাদীর টিকিটে রাজ্যসভায় যাওয়ার। পরোক্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলায় যে পাঁচটি পদ খালি হচ্ছে, সেখান থেকে চারজনের রাজ্যসভায় যাওয়া নিশ্চিত তৃণমূলের টিকিটে। বাকি একটি পদে বাম-কংগ্রেস জোট হলে বা প্রদীপ ভট্টাচার্যের মতো কেউ প্রার্থী হলে তৃণমূলের সমর্থনে রাজ্যসভায় যেতে পারবেন।
মুকুল রায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। কুণাল ঘোষ তৃণমূলের সাসপেন্ডেড সাংসদ। বাকি তিনজনের মধ্যে দুজনের টিকিট একপ্রকার পাকা। এই অবস্থায় জয়া বচ্চনকে তৃণমূল টিকিট দিতেই পারে বাকি তিনটির একটিতে। প্রথমত বচ্চন পরিবারের সঙ্গে মমতার সম্পর্ক খুবই কাছের। তারপর বচ্চন পরিবারের একজন তৃণমূলের সাংসদ হলে, সর্বভারতীয় মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে তৃণমূলের।
আর জয়া বচ্চনও নিশ্চিত একটা জায়গা পাবেন। অমিতাভ বচ্চনের পরিবারের এই তৃণমূল-যোগে ভাবমূর্তিও বাড়বে উভয় পক্ষেরই। এই অবস্থায় জয়ার অনুরোধ মমতা ফেরাবেন বলে মনে করছে না রাজনৈতিক মহল। আগামী দিনে দিল্লির রাজনীতিতে তৃণমূলের গুরুত্ব আরও বাড়তে চলেছে বলেই অভিমত বিশেষজ্ঞদের। সেই নিরিখে অমিতাভ-ঘরণী যদি তৃণমূলের সাংসদ হন উভয় পক্ষেরই লাভ। আর জয়া বচ্চন গত দুবারের সাংসদ। তিনি অভিনেত্রী হলেও সর্বভারতীয় রাজনীতিতে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন অন্যদের তুলনায়। এ ব্যাপারে তিনি টেক্কা দিয়েছেন বিগ বি-কেও।