পালিয়েও পুলিশের জালে মগরাহাটের খুনি, কলকাতা থেকে গ্রেফতার জানে আলম
পালিয়েও পুলিশের জালে মগরাহাটের খুনি, কলকাতা থেকে গ্রেফতার জানে আলম
দিনেদুপুরে নৃশংস খুন।তারপর পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রায় চব্বিশ ঘণ্টা গা ঢাকা দেওয়া। এতকিছুর পরেও তীরে এসে তরী ডুবলই। মগরাহাট জোড়াখুন কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত জানে আলম মোল্লাকে গ্রেফতার করল পুলিশ৷
সম্প্রতি শিউরে ওঠার মতো জোড়াখুনের সাক্ষী থাকল মগরাহাট। ২৭ বছর বয়সী মলয় মাখাল এবং সিভিক ভলেন্টিয়ার বরুণ চক্রবর্তী রক্তে ভেসে যাওয়া মৃতদেহ প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল পুলিশ প্রশাসনের দিকে। এবার এই কাণ্ডের মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ৷ রবিবার দক্ষিণ কলকাতার চারু মার্কেট থানা থেকে জানে আলমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সূত্রের খবর, গত রাত থেকেই শুরু হয়েছিল তল্লাশি৷ ডায়মণ্ড হারবার জেলা পুলিশ বুঝতে পেরেছিল, খুন করে এলাকাছাড়া হয়েছে জানে আলম। সিম কার্ড ট্র্যাক করে জানে আলমের অবস্থান বের করে পুলিশ৷ তারপরই চারু মার্কেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে স্থানীয় পুলিশ৷
কিন্তু কেন এই খুন? জানা যাচ্ছে, এর আগে বাড়ি তৈরির জিনিসপত্র বিক্রির জন্য মলয় মাখালের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী জানে আলম। জানে আলমের কাছে সর্বমোট ৮০ হাজার টাকা পাওনা হয়েছিল মলয়ের৷ কিন্তু বহুদিন কেটে গেলেও সেই টাকা ফেরত দেয়নি এমনকি মলয়কে বাড়ি তৈরির জিনিসপত্রও দেয়নি আলম৷
শনিবার সেই টাকা ফেরত নিতেই মলয় মাখালকে ডেকে পাঠায় জানে আলম। জানা গিয়েছে টাকা নিতে জানে আলমের কারখানায় গিয়েছিলেন মলয় ও তাঁর বন্ধু বরুন। সেখানেই খুন হন দু'জনে৷ কারখানার সামনে বরুন, মলয়ের বাইক দেখেই প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ বাড়ে। তাঁরা জানে আলমকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে আলম বলেন কারখানার ভেতরে মদ খাচ্ছেন ওই দু'জন। তবে আলমের কথায় বিশ্বাস হয়নি স্থানীয়দের। দরজা ঠেলে তারা ভেতরে ঢুকতেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় বাসিন্দাদের। দেখা যায়, রক্তে ভেসে রয়েছে কারখানার মেঝে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রথমে গুলি করে পরে কুপিয়ে খুন করেছে আলম। তার গ্রেফতারের দাবিতে রাস্তা অবরোধও করেন বাসিন্দারা৷