এবার স্বাস্থ্য নিয়ে সংঘাত! আয়ুষ্মান ভারত নিয়ে মমতার সরকারকে তোপ ধনকরের
ফের নিজের সরকারের প্রধানের প্রতি খর্গ হস্ত রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। এবারের বিষয় স্বাস্থ্য। রাজ্য সরকার স্বাস্থ্যে কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প গ্রহণ না করায় এদিন সমালোচনায় সরব হয়েছেন রাজ্যপাল।
ফের নিজের সরকারের প্রধানের প্রতি খর্গ হস্ত রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। এবারের বিষয় স্বাস্থ্য। রাজ্য সরকার স্বাস্থ্যে কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প গ্রহণ না করায় এদিন সমালোচনায় সরব হয়েছেন রাজ্যপাল। তিনি বিষয়টি নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ করেছেন।
কেন্দ্রের আয়ুষ্মান প্রকল্প আটকে রাজ্যে
কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প রাজ্যে আটকে যাওয়া নিয়ে এদিন ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রাজ্যপাল। এখানে সবকিছুতেই রাজনীতি হয়। বলেছেন তিনি। স্বাস্থ্যে রাজনীতির অভিযোগ তুলে বলেছেন, অন্তত এই বিষয়টিকে রাজনীতির বাইরে রাখা উচিত।
৩ হাজার আবেদন তাঁর কাছে
রাজ্যপাল এদিন জানিয়েছেন, তিনি রাজ্যের রাজ্যপাল হয়ে এসেছেন ১০০ দিন এখনও হয়নি। এর মধ্যে তাঁর রাছে স্বাস্থ্যে সাহায্যের জন্য প্রায় ৩ হাজার আবেদন জমা পড়েছে।
মানুষের সুবিধাকেই অগ্রাধিকার
রাজ্যপাল বলেছেন তিনি সাধারণ মানুষের সুবিধাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার পক্ষে। মানুষের জন্য যে টাকাই আসুক না কেন, তার যথাযথ ব্যবহার হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর আশা সরকার মানুষের সুবিধাকেই অগ্রাধিকার দেবে।
আয়ুষ্মানের বদলে স্বাস্থ্যসাথী
রাজ্যে তাঁর সরকার যে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প অনুসরণ করবে না, তা লোকসভা ভোটের আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানুয়ারি মাসে কৃষ্ণনগরে সরকারি সভায় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন রাজ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প। তাঁর অভিযোগ ছিল আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে রাজ্য সরকার ৪০ শতাংশ খরচ দিলেও, তাকে প্রধানমন্ত্রীর ছবি দিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। বাংলার প্রকল্প টুকলি করারও অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
ভোট প্রচারে এসে আক্রমণ মোদী, অমিতের
রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছিল মোদী অমিত শাহরা। লোকসভা ভোটের প্রচার মঞ্চ থেকেই তাঁরা এই সমালোচনা করেছিলেন। রাজনীতি করতে গিয়ে কোটি কোটি মানুষকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন তাঁরা।
তৃণমূলেই আছেন তিনি, চিঠিটা ভুয়ো! কারণ জানালেন দেবশ্রী রায়
বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সংঘাত
সরকারি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ থেকে চলচ্চিত্র উৎসব, তাঁকে আমন্ত্রণ না জানানোর অভিযোগ করে সরব হতে দেখা গিয়েছে রাজ্যপালকে। পাশাপাশি জগদীপ ধনকরের অভিযোগ ছিল দীপাবলিতে প্রধানমন্ত্রী প্রথা মেনে রাষ্ট্রপতিকে শুভেচ্ছা জানালেও, রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালকে শুভেচ্ছা জানাননি। যাদবপুর দিয়ে যে সংঘাত শুরু হয়েছিল তা এখনও চলছে।
অমিত শাহকে চিঠি তৃণমূল ছাড়াও সিপিএম এবং কংগ্রেস বিধায়কদেরও! সংখ্যা জানিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি মুকুলের