মুখ্যমন্ত্রীর বার্তার পরেই সংঘাতের সুর! বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সরকারকে পাল্টা রাজ্যপালের
মুখ্যমন্ত্রীর বার্তার পরেই সংঘাতের সুর! বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সরকারকে পাল্টা রাজ্যপালের
মঙ্গলবার রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে নবান্নে বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত হস্তক্ষেপ সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী তিনি বলেছিলেন অন্য কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন নেই। বুধবার তারই জবাব জিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। তিনি বলেছেন, যা তিনি করছেন সবটাই সংবিধান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মেনেই।
বাইরের হস্তক্ষেপ সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার প্রথমে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে অধ্যাপকদের সভায় ভাষণ, তারপর নবান্নে উপাচার্যদের ডেকে বৈঠক। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সেই বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী বলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলি স্বশাসিত। তাই সেখানে বহিরাগতদের হস্তক্ষেপ কোনওভাবেই মানা হবে না। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করেন উপাচার্যরাই, তাই কোনওভাবেই বাইরের কেউ যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে হস্তক্ষেপ না করে। যদিও এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের কোনও নাম করেননি বলেই জানা গিয়েছে। তার আগে নেতাজি ইন্ডোরে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, বাইরের কে কী বলল, তা নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই। রাজ্যের সরকার নির্বাচিত সরকার।
সুরঞ্জন দাসকে সরাতে বলা হয়েছিল
সূত্রের খবর অনুযায়ী মঙ্গলবারের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, যাদবপুরের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে সরিয়ে দিতে বলা হয়েছিল। যদিও সেই প্রস্তাবে তিনি রাজি হননি। প্রসঙ্গত যাদবপুরে বিক্ষোভের মুখে পড়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে বিতণ্ডা হয়েছিল উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের। এরপরেই তাঁকে সরানোর জন্য বলা হয়েছিল।
যাদবপুরের উপাচার্যকে ডেকে বৈঠক করেছিলেন রাজ্যপাল
সেপ্টেম্বরে যাদবপুর নিয়ে বিতর্কের পর সেখানকার উপাচার্যকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সূত্রের খবর অনুযায়ী, রাজ্য উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, সেখানকার সুবিধা অসুবিধার কথা।
রাজ্যপালের কথা হয়েছিল জুটার সম্পাদকের সঙ্গেও
এর আগে যাদবপুর সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন। রাজ্যপাল ফোন করেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষ সমিতি, জুটার সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায়কে। তাঁকে রাজভবনে ডেকে পাঠিয়ে সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। জানা যায় রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্দোলনের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেছিলেন।
রাজ্যপালের অবস্থান ভাল ভাবে নেয়নি সরকার
যদিও রাজ্যপালের কোন পদক্ষেপকেই রাজ্য সরকার ভাল ভাবে নেয়নি। সেই সময়ই শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, অতিসক্রিয়তা দেখাচ্ছেন রাজ্যপাল। এর পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যপালের এক্তিয়ার নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
|
রাজ্যপালের জবাব
মঙ্গলবারের বৈঠক নিয়ে একটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরকে উদ্ধৃত করে রাজ্যপাল বলেছেন, চ্যান্সেলর হিসেবে তিনি যে পদক্ষেপ করেছেন তা সংবিধান এবং বিশ্ববিদ্যালেয়র নিয়ম মেনেই। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের অর্থ তিনি বোঝার চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল।
বেতন বাড়লেও খুশি নন অধ্যাপকরা! মমতার সিদ্ধান্তের পরই কর্মবিরতির ডাক