বাবুলকে শপথগ্রহণের অনুমতি রাজ্যপালের, স্পিকারের বদলে ডেপুটিকে দায়িত্ব দেওয়ায় নয়া বিতর্ক
বাবুলকে শপথগ্রহণের অনুমতি রাজ্যপালের, স্পিকারের বদলে ডেপুটিকে দায়িত্ব দেওয়ায় নয়া বিতর্ক
বাবুল সুপ্রিয় বালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে জিতে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু তাঁর শপথ গ্রহণ এখনও আটকে রয়েছে রাজ্যপালের অনুমতি না মেলায়। রাজ্যপাল অবশেষে বাবুল সুপ্রিয় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের সবুজ সংকেত দিয়েছেন। কিন্তু বিতর্কের অবসান হয়নি তাতেও। তিনি আবার স্পিকারের বদলে ডেপুটি স্পিকারতে দায়িত্ব দেওয়ার শুরু হয়েছে নয়া বিতর্ক। তবে রাজ্যপালের দেওয়া দায়িত্ব নিতে ্স্বীকার করেছেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে বাবুল সুপ্রিয়র শপথগ্রহণ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এটা অধ্যক্ষকে অপমান করা, চিঠি দিয়ে প্রত্যাখ্যান করব, জানিয়েছেন ডেপুটি স্পিকার।
শনিবার বাবুল সুপ্রিয়র শপথগ্রহণের অনুমতি প্রাদন করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এই বিতর্কের অবসান হলেও, তিনি অনুমতি প্রদানের পরই নতুন বিতর্কের সৃষ্টি করলেন স্পিকারের বদলে ডেপুটি স্পিকারকে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের দায়িত্ব দিয়ে। এদিন রাজ্যপাল টুইট করে জানান সে কথা। রাজ্যপাল টুইটে লিখেছেন, বারতের সংবিধাননের ১৮৮ অনুচ্ছেদ দ্বারা তাঁর ক্ষমতা প্রয়োগ করে ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়িত্ব অর্পণ করেছেন। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবর্তে শপথবাক্য পাঠ করানোর দায়িত্ব তিনি দিয়েছেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
শুক্রবার টুইট করে তাঁর শপথ বাক্য পাঠ আটকে থাকা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন বালিগঞ্জের উপনির্বাচনে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। ১৬ এপ্রিল তিনি ভোটে জয়ী হয়ে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেনয। তারপর দ-সপ্তাহ অতিক্রান্ত, বাবুল সুপ্রিয় শপথ নিতে পারেননি। শনিবার তাঁর শপথ নেওয়ার অনুমতি প্রদান করলেন রাজ্যপাল। সেইসঙ্গে জুড়ে দিলেন নতুন বিতর্ক।
শনিবার রাজভবন বাবুলের শপথের অনুমতি দেওয়ার পর পাল্টা টুইট করে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন বাবুল সুপ্রিয়। একইসঙ্গে দুঃখপ্রকাশ করে তিনি জানিয়েছেন, স্পিকারের কাছে শপথ নিতে পারছি না, তার জন্য খারাপ লাগছে। আগামী সপ্তাহেই হবে বাবুলের শপথগ্রহণ। মঙ্গল ও বুধবার ইদের ছুটি রয়েছে। তারপরেই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
সাধারণভাবে বিধায়কদের শপথগ্রহণ করানোর ভার রাজ্যপাল বিধানসভার স্পিকারকে দিয়ে রাখেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সেই ক্ষমতা নিজের কাছে ফিরিয়ে নিয়েছেন। সেই কারণেই বিধায়ক শপথ গ্রহণের জন্য রাজ্যপালের অনুমতি নেওয়ার প্রয়েজন হয়। রাজ্যপাল মনে করলে তিনি নিজেই শপথ গ্রহণ করাতে পারেন। এবার রাজ্যপাল শপথ গ্রহণের দায়িত্ব দিয়েছেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
গত বছর ভবানীপুর বিধানসভার উপনির্বাচনের জয়ের পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শপথগ্রহণ করাতে বিধানসভায় গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। ৭ অক্টোবর সেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হয়। এবার বাবুলের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের জন্য রাজভভনকে চিঠি পাঠায় পরিষদীয় দফতর। রাজ্যপাল বেশ কিছউ বিল ও প্রস্তাবের আলোচনার বিস্তারিত বিবরণ না পাওয়া পর্যন্ত শপথ গ্রহণের অনুমতি দিচ্ছিলেন না। শনিবার তিনি আচমকাই অনুমতি দিয়ে দিলেন।