কনকের ‘কুমারীত্ব পোস্টে’ কড়া যাদবপুর, ‘অধিকার’ কাড়া হল বিতর্কিত অধ্যাপকের
কুমারীত্ব নিয়ে বিতর্কিত ফেসবুক পোস্টের পর থেকেই অধ্যাপক কনক সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। মঙ্গলবার তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
কুমারীত্ব নিয়ে বিতর্কিত ফেসবুক পোস্টের পর থেকেই অধ্যাপক কনক সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। মঙ্গলবার তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তিনি শুধু ক্লাস নিতে পারবেন না এমন নয়, তিনি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই পা রাখতে পারবেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈঠকের পর কড়া সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিলেন উপাচার্য।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক বিভাগের অধ্যাপক কনক সরকার আপাতত কোনও ক্লাস নিতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিভাগীয় প্রধানের এই সিদ্ধান্তের পর উপাচার্য জানিয়ে দেন, তিনি আপাতত বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশ করতে পারবে না। তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার সুপারিশ করার ইঙ্গিতও দিয়েছেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস।
মঙ্গলবারই জাতীয় মহিলা কমিশনের এক প্রতিনিধি দল যাদবপুর উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন। সেইমতো বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস এদিন বৈঠক করেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের ফেসবুক পোস্টের প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন পড়ুয়ারাও। তাঁরা অধ্যাপকের অপসারণ দাবি করেন।
অভিযোগ, ওই অধ্যাপক যে শুধু ফেসবুকে পোস্ট করে বিতর্ক তৈরি করেছেন তা নয়, এর আগেও ছাত্রীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। তিনি ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট করে কুরুচির পরিচয় দিয়েছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাদানের উপযুক্ত নন বলেও এদিন দাবি তোলা হয়।
উল্লেখ্য, তিনি ফেসবুকে পোস্ট করেন, 'কুমারী মেয়েরা সিল করা নরম পানীয়ের বোতলের মতো বা বিস্কুটের প্যাকেটের মতো। কুমারী মেয়েকে স্ত্রী হিসেবে পাওয়ার সুবিধা বোঝে না বোকা ছেলেরা। তিনি লেখেন জন্মের সময় প্রাকৃতিকভাবে সিল করা থাকে মেয়েরা। লেখেন- কুমারী মেয়ের অর্থ মূল্যবোধ, সংস্কৃতি ও স্বচ্ছতা। অনেক ছেলেরাই মনে করেন, কুমারী মেয়েরা পরীর মতো।
তিনি আরও একটি পোস্ট লেখেন, বিবাহ পর্যন্ত একজন মহিলার কুমারী থাকা প্রয়োজন, তেমনই একজন পুরুষকেও ব্রহ্মচারী থাকতে হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, বিয়ের আগেই কুমারিত্ব হারাচ্ছেন মেয়েরা। ব্রহ্মচর্য হারাচ্ছেন পুরুষরা। এটা তাঁদের অজ্ঞতা ও মূল্যবোধের অভাব।