প্রবেশিকা-জটে এবার অনশন কাঁটা, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন ক্রমেই তীব্র হচ্ছে
প্রবেশিকা পরীক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ-আন্দোলনের পর এবার অনশনে বসলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালের পড়ুয়ারা। শুক্রবার রাত থেকে ১৫ জন আন্দোলনকারী পড়ুয়া অনশন শুরু করেন।
প্রবেশিকা পরীক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ-আন্দোলনের পর এবার অনশনে বসলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালের পড়ুয়ারা। শুক্রবার রাত থেকে ১৫ জন আন্দোলনকারী পড়ুয়া অনশন শুরু করেন। পরে তা বেড়ে হয়েছে ২০ জন। তার পাশাপাশি অবস্থান বিক্ষোভও চালাচ্ছেন পড়ুয়ারা। ৩০ ঘণ্টা পর উপাচার্য ঘেরাও-মুক্ত হয়েছেন বৃহস্পতিবারই। তবুও অশান্তির আগুন নিভছে না যাদবপুরে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর থেকেই অশান্তির আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পুরো ৩০ ঘণ্টা আটক থাকার পর ঘেরাও মুক্ত হন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। তখনই আশার আলো তৈরি হয়েছিল, এবার হয়তো অশান্তির আগুন নিভতে পারে। কিন্তু জট কাটল না। কারণ ছাত্রছাত্রীরা তাঁদের আন্দোলনের পথ থেকে সরে আসছেন না। প্রবেশিকা সংক্রান্ত দাবি মানা না হওয়ায় তাঁরা এবার অনশন আন্দোলন শুরু করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় এবার প্রবেশিকা পরীক্ষা বন্ধ রেখে উচ্চমাধ্যমিক ও সমতুল পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তি নেওয়া হবে বলে জানায়। তাতেই আপত্তি পড়ুয়া থেকে শুরু করে অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের। অভিযোগ, সরকারের চাপের কাছে নতি স্বীকার করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তারপরই বিশ্ববিদ্যালয় কর্মসমিতির সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ শুরু হয়। ঘেরাও করা হয় উপাচার্যকে। শুধু ছাত্রছাত্রীরা নন, শিক্ষকদের সংগঠন জুটাও আন্দোলনে নামে। মঙ্গলবার মৌন মিছিল করার ডাক দিয়েছে জুটা। ১১ জুলাই গান্ধী ভবনে এই মর্মে একটি কনভেনশনের ডাক দেওয়া হয়েছে।
আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা হুমকি দিয়েছিলেন শুক্রবার বিকেল তিনটের মধ্যে কর্তৃপক্ষ ইতিবাচক কোনও পদক্ষেপ না নিলে তাঁরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন। সেইমতো বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কিছু না জানানোয় ১৫ পড়ুয়া অনশনের সিদ্ধান্ত নেন। এদিন আবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। প্রবেশিকা রদের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা হলে অনশন কর্মসূচি আরও বৃহৎ আকার নেবে। ছাত্রছাত্রীরা ক্লাস বয়কট করেছেন, অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা কর্মবিরতি পালন করছেন।