উপাচার্যের চিঠিতেও খুলল না জট, পাল্টা চিঠিতে অনশন-আন্দোলন আরও তীব্র যাদবপুরে
উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের চিঠিতেও খুলল না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালেয়র জট। পড়ুয়ারা আন্দোলন আরও জোরদার করার রাস্তাতেই হাঁটল। ফলে পড়ুয়াদের অনশন আরও তীব্র আকার নিতে শুরু করল।
উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের চিঠিতেও খুলল না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালেয়র জট। পড়ুয়ারা আন্দোলন আরও জোরদার করার রাস্তাতেই হাঁটল। ফলে পড়ুয়াদের অনশন আরও তীব্র আকার নিতে শুরু করল। যতক্ষণ না প্রবেশিকা রদের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হবে, ততক্ষণ এই আন্দোলন চলবে বলে জানিয়ে দিলেন পড়ুয়ারা।
প্রবেশিকা পরীক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ-আন্দোলনের পর শুক্রবার রাত থেকে অনশনে বসেছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালের পড়ুয়ারা। পাশাপাশি অবস্থান বিক্ষোভও চালাচ্ছিলেন তাঁরা। এ জন্য শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত চরমসীমা দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও সরকার পক্ষকে। এরই মধ্যে উপাচার্যের চিঠি এসে পৌঁছয়। কিন্তু সেই চিঠিতে উপাতার্য়ের অনশন ভঙ্গের আবেদন সত্ত্বেও জট খুলল না।
[আরও পড়ুন: শুভেন্দুকে টপকে ঋতব্রতর ছবি প্রোফাইলে! তৃণমূল যুবনেতার 'পরিবর্তন'-এ বিতর্কের ঝড় ]
উপাচার্যের আবেদন নস্যাৎ করে অনশন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তেই অনড় থাকলেন পড়ুয়ারা। ফের রবিবার দুপুর পর্যন্ত ভাবার সময় দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত না করায় অনশন চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সম্মত হলেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। উপাচার্যকে পাল্টা চিঠি দিয়ে ছাত্রছাত্রীরা জানিয়ে দিয়েছেন, যতক্ষণ না আমাদের দাবি পূরণ করা হচ্ছে আমরা আন্দোলনের রাস্তা থেকে সরব না।
উল্লেখ্য, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর থেকেই অশান্তির আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পুরো ৩০ ঘণ্টা আটক থাকার পর ঘেরাও মুক্ত হন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। তবে প্রবেশিকা সংক্রান্ত দাবি না মেনে নেওয়া পর্যন্ত অনশন আন্দোলন থেকে তাঁরা সরবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন।
[আরও পড়ুন: 'আসুন মোদী, দেখে যান বাংলায় মমতার উন্নয়ন'! প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত-বার্তা অভিষেকের]