ধর্মতলায় ‘একুশে’-র খুঁটিপুজো তৃণমূলের, রজত-জয়ন্তীতে মুকুল-শূন্য সমাবেশের প্রস্তুতি
এবার একুশে জুলাই সমাবেশ আক্ষরিক অর্থেই হতে চলেছে অঙ্গীকার দিবস। তার খুঁটিপুজো হয়ে গেল সাতদিন আগেই। ঘটা করে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির হাত ধরে খুঁটি পুজো হল এবার।
এবার একুশে জুলাই সমাবেশ আক্ষরিক অর্থেই হতে চলেছে অঙ্গীকার দিবস। তার খুঁটিপুজো হয়ে গেল সাতদিন আগেই। ঘটা করে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির হাত ধরে খুঁটি পুজো হল এবার। এতদিন যাঁকে মধ্যমণি হয়ে থাকতে দেখা যেত ধর্মতলায় একুশের সমাবেশে, শুধু তিনি নেই, বাকি সবই একইরকম।
এই প্রথম তৃণমূলের একুশে পালনে নেই মুকুল রায়। গতবার এই একুশের সমাবেশ থেকেই তিনি আড়ালে সরে যাওয়া শুরু করেছিলেন। এখন তিনি নেই তৃণমূলে। ২০ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে তিনি চলে গিয়েছেন বিজেপিতে। তাই এবার মুকুলকে ছাড়াই একুশে জুলাই শহিদ সমাবেশের খুঁটিপুজো হয়ে গেল।
এবার আবার একুশে জুলাইয়ের ২৫ বছর পূর্তি। ফলে এবারের শহিদ সমাবেশকে অঙ্গীকার দিবস হিসেবে পালন করার শপথ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে তিনি এই অনুষ্ঠান নিজের হাতে করে এসেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মঞ্চে উপস্থিতির আগে পর্যন্ত তিনিই থাকতেন সর্বেসর্বা। গতবার একটু অন্যথা ঘটেছিল। আর এবার সম্পূর্ণ মুকুলহীন একুশে পালন করার তোড়জোড় চলছে ধর্মতলায়। এবার হয়তো একুশের সমাবেশ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বক্তব্য পেশ করবেন, তার বিরোধিতা করতে দেখা যাবে মুকুল রায়কে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই যুব কংগ্রেসের 'নো ভোটার কার্ড, নো ভোটে'র দাবিতে রাইটার্স বিল্ডিং অভিযানে নেমেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই রাইটার্স বিল্ডিং অভিযান রুখতে পুলিশ গুলি চালিয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় ১৩ জন যুব কংগ্রেসকর্মী নিহত হয়েছিলেন।
এরপর থেকেই এই দিনটি শহিদ দিবস হিসেবে পালিত হয়। ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত কংগ্রেসের ব্যানারে এই অনুষ্ঠান পালন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূল কংগ্রেস ধর্মতলায় এই শহিদ দিবস পালন করে আসছেন তিনি। এবারও তিন ধাপে মঞ্চ তৈরি হচ্ছে ধর্মতলায়। কংগ্রেস গান্ধী মূর্তির পাদদেশে দিনটি স্মরণ করে।
[আরও পড়ুন:'মাদার'কেও রেয়াত করছে না বিজেপি, শিশুপাচার-কাণ্ডে সন্ন্যাসিনী গ্রেফতারে সরব মমতা]