মেডিক্যালে অভিন্ন প্রশ্নপত্র নিয়ে বাংলার সঙ্গে বঞ্চনা! কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতে নামছে রাজ্য
মেডিক্যালে অভিন্ন প্রশ্নপত্র নিয়ে এবার কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সংঘাতে নামতে চলেছে রাজ্য। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে সোমবার বলেছেন, ‘কার নির্দেশে এমন করল সিবিএসই।
মেডিক্যালে অভিন্ন প্রশ্নপত্র নিয়ে এবার কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সংঘাতে নামতে চলেছে রাজ্য। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে সোমবার বলেছেন, 'কার নির্দেশে এমন করল সিবিএসই? কোনওমতেই এই দ্বিচারিতা বরদাস্ত করা হবে না। এ জন্য আমরা যতদূর যেতে হয় যাব। স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গেও এ নিয়ে কথা বলব।'
পার্থবাবু বলেন, অভিন্ন প্রশ্নপত্র হবে বলে কথা দিয়ে অনেক কঠিন প্রশ্নপত্র করা হয়েছে বাংলায়। এই ঘটনা বাংলার মেধাকে নস্যাৎ করার চেষ্টা। জাতীয় স্তরে পরীক্ষার নামে বাংলাকে বঞ্চনা করার চক্রান্ত চলছে। অভিভাবকরা এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্নপত্রের এই ধরন নিয়ে কেন্দ্রের ভূমিকায় ব্যথিত।
সেই প্রেক্ষিতেই পার্থবাবু বলেন, কোনওমতেই আমরা কেন্দ্রের এই বঞ্চনা মেনে নেব না। তিনি বলেন আমরা কেন্দ্রকে চিঠি দিচ্ছি। অন্যান্য ভাষার সঙ্গে ইংরেজি ভাষার প্রশ্নপত্র কাছকাছি হলেও, বাংলার সঙ্গে অনেক পার্থক্য। বাংলার প্রশ্ন অনেক কঠিন হয়েছে। এটা আসলে বাংলার সঙ্গে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
দেশজুড়ে একই প্রশ্নপত্রে প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে সমমেধার চিকিৎসক তৈরিই ছিল উদ্দেশ্য। কিন্তু ন্যাশনাল এন্ট্রান্স কাম এলিজিবিলিটি টেস্ট বা নিটের মাধ্যমে এই পরীক্ষার নামে যা হল, তা অভিন্ন প্রশ্নপত্র তো নয়ই, সেখানে সমমেধা নিরূপণের কোনও সদিচ্ছাও চোখে পড়েনি। বাংলা ও ইংরেজি ভাষার প্রশ্নপত্র মেলালেই এই পার্থক্য চোখে পড়বে।
এর ফলে রাজ্যের হাজার হাজার ছেলেমেয়ে শুধু ভোগান্তির শিকার হলেন না, তাঁদের উদ্বেগও বাড়িয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকারের এই ভূমিকা। ইংরেজি, হিন্দি ছাড়াও বাংলা-সহ আটটি আঞ্চলিক ভাষায় এই পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। এখন প্রশ্ন অন্য আঞ্চলিক ভাষার প্রশ্নপত্র কাছাকাছি হলেও কী করে বাংলার প্রশ্নপত্রে এত ফারাক হল? তাই সিবিএসই বোর্ডের ছাত্রছাত্রীদের থেকে বাংলা মাধ্যমের ছাত্রছাত্রীদের ভালো ফলে অন্তরায় তৈরি হয়। অনেকে তা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও ভাবছেন।