আহ্, বৃষ্টি! গরমে স্বস্তি কলকাতার, শান্তিবারি বাকি দক্ষিণবঙ্গেও
কাঠফাটা গরমে যখন ঝামাপোড়া হচ্ছিল কলকাতা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গ, তখন রবিবার সকাল থেকে বৃষ্টি এল ঝেঁপে। কালো আকাশ, ঝোড়ো হাওয়া, মেঘের গুড়গুড়ানি, সব মিলিয়ে বেশ মনোরম পরিবেশ! স্বস্তির খবর এই যে, এদিনের পর আগামী চার দিন অর্থাৎ ২৯ মে পর্যন্ত মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
গত কয়েকদিন ধরে পারদ চড়ছিলই। সারা দিন তো বটেই, রাতেও মিলছিল না স্বস্তি। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বইছিল লু। তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। সেই মার্চে গরম পড়া থেকে ভাগ্য মন্দই থেকেছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের। একটিও কালবৈশাখী হয়নি। এই গ্রীষ্মে রাজস্থানের মরুশহরগুলিতে যা তাপমাত্রা ছিল, তার চেয়েও বেশি গরম পড়েছে কলকাতাতে! এবারের গরমের বৈশিষ্ট্য হল শুষ্কতা। সাধারণত বঙ্গদেশের গরমের সঙ্গে থাকে প্যাচপ্যাচে ঘাম। শুষ্ক গরম উত্তর ভারতের আবহাওয়ার বৈশিষ্ট্য। অথচ এ বার সেই শুকনো গরমই কলকাতায় অধিকাংশ সময় লক্ষ করা গিয়েছে। প্রচণ্ড গরমের কারণে চাষবাসেও প্রভূত ক্ষতি হয়েছে। আমের ফলন মার খেয়েছে। সবজির উৎপাদনও কমে গিয়েছে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, হঠাৎ বৃষ্টি আসার কারণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপ। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে শনিবার রাতে ঢুকে পড়ে দক্ষিণবঙ্গে। ঘনীভূত হয়ে তা-ই সকাল থেকে বৃষ্টিপাত ঘটায়। নিম্নচাপটি সমুদ্র থেকে আসায় সঙ্গে করে নিয়ে এসেছে প্রচুর জলীয় বাষ্প। তার জেরেই বৃষ্টির মুখ দেখল চাতক হয়ে বসে থাকা রাজ্যবাসী। বৃষ্টির জেরে আগামী পাঁচদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমে ৩৩-৩৬ ডিগ্রির আশপাশে দাঁড়াবে বলে দাবি আবহাওয়া দফতরের। রবিবার কলকাতার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলকাতা ছাড়াও হাওড়া, হুগলী, দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বাঁকুড়া ও বর্ধমানের বিস্তীর্ণ অংশে বৃষ্টি হয়েছে। আগামী তিন-চার দিনে ভালো বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গেও।