কসবায় আধিকারিক খুন! পরিকল্পনা মাফিক খুনের পিছনে যা কারণ দিচ্ছে পুলিশ
শনিবার পরিকল্পনা মাফিক খুন করা হয়েছে কসবার টেগোর পার্কের বাসিন্দা শীলা চৌধুরীকে। দুই অভিযুক্তকে টানা জেরার পর এমনটাই মনে করছেন তদন্তকারীরা।
শনিবার পরিকল্পনা মাফিক খুন করা হয়েছে কসবার টেগোর পার্কের বাসিন্দা শীলা চৌধুরীকে। দুই অভিযুক্তকে টানা জেরার পর এমনটাই মনে করছেন তদন্তকারীরা। প্রধান অভিযুক্ত শম্ভু কয়ালের গেঞ্জি, শীলা চৌধুরীর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া চাদর, গামছা ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
এক্কেবারে পরিকল্পনা মাফিক খুন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিক শীলা চৌধুরীকে। এবছর উচ্চমাধ্যমিক পাশ করা বছর ১৮-র শম্ভু কয়ালকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, নাবালক বন্ধুকে সঙ্গে করে শনিবার ফ্ল্যাটে গিয়েছিল সে। নাবালক সঙ্গীকে সিঁড়িতে দাঁড় করিয়ে ফ্ল্যাটে ঢোকে শম্ভু। গরমের জন্য সরবত খেতে চায়। এরপর সরবত বানাতে গেলে নাবালক বন্ধুকে ফ্ল্যাটে ঢুকিয়ে দেয় সে।
নাবালক বন্ধুকে আগে থেকেই বলা ছিল, ফ্ল্যাটে ঢুকেই যেন খাটের নিচে ঢুকে যায়। আর শীলা চৌধুরী শোয়ার ঘরে ঢুকলেই, পা টেনে ধরে যেন ফেলে দেওয়া হয়। সরবত খাওয়ার পরেই কোনও এক সময়ে শোয়ার ঘরে ঢোকেন শীলা চৌধুরী। সেই সময় পরিকল্পনা মাফিক মেঝেতে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর তাঁকে চাদর দিয়ে জড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয় বলে জানা গিয়েছে। শম্ভু কয়াল বড় কড়াই এনে শীলা চৌধুরীর মাথায় আঘাত করতে থাকে। নিস্তেজ হয়ে পড়লে মৃত্যু নিশ্চিত করতে মুখে বালিশ চাপা দেওয়া হয়। এরপর শীলা চৌধুরীকে রান্না ঘরে টেনে নিয়ে যায় শম্ভু ও তার নাবালক বন্ধু। এরপর আলমারিতে থাকা ১০ হাজার টাকা ও গয়না লুট করে তারা।
তদন্তে নেমে শুরু থেকেই শম্ভু কয়ালকে সন্দেহের তালিকায় রেখেছিল পুলিশ। শম্ভুর বাড়ি থেকে ভিজা গেঞ্জি পায় পুলিশ। সচরাচর পোশাক পরিষ্কার না করলেও ভেজা গেঞ্জিতে সন্দেহ হয় পুলিশের। গেঞ্জিতে রক্তের দাগ পাওয়া যায়। এছাড়াও শীলা চৌধুরীর ফ্ল্যাট থেকে খুনে ব্যবহৃত চাদর ও গামছা উদ্ধার করে পুলিশ। তিনটি জিনিসই ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। শম্ভু কয়ালের বাড়িতে তল্লাশিতে গয়নাও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।