কীভাবে হত্যালীলার ধরন বদলেছে আইএসআইএস, সূত্র পেলেন গোয়েন্দারা
কলকাতা, ৭ জুলাই : পশ্চিবঙ্গ ধরা পড়েছে আইএসআইএস জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গ যুক্ত মুসা নামে এক যুবক। চেন্নাইয়ে স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে সে থাকত। সেখান থেকে হাওড়া হয়ে বীরভূমে গিয়ে তিনজনকে হত্য়ার পরিকল্পনা ছিল তার। যদিও তাকে খবর পেয়ে ধরে ফেলেন গোয়েন্দারা। [পশ্চিমবঙ্গে আইএসের উপস্থিতি প্রমাণ করতে মুসাকে পাঠানো হয়েছিল!]
আর এই মুসাকে জেরা করেই একেরপর এক নয়া তথ্য সামনে আসছে গোয়েন্দাদের। মুসাকে জেরা করছে কলকাতা গোয়েন্দা শাখা সিআইডি ছাড়াও আইবি, এনআইএয়ের মতো কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দলের আধিকারিকেরা। সেখানে মুসা জানিয়েছে কীভাবে সে আইএসের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। [নতুন ভিডিওতে বাংলাদেশে হামলার হুমকি দেওয়া তিন যুবকের পরিচয় কী? জেনে নিন]
আইএসের মডিউলের নানা কথাও মুসাকে জেরা করে জানার চেষ্টা করেছেন গোয়েন্দারা। প্রথমত এরাজ্য তথা ভারতে আইএসের উপস্থিতি জানাতে লাভপুরে তিনজনকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কারণটা আর কিছুই না, নিজেদের উপস্থিতি জানানো ও আতঙ্ক তৈরি করা।
এর পাশাপাশি আরও একটি তথ্য জেরায় উঠে এসেছে যা শুনে কপালে চোখ গোয়েন্দাদের। জানা গিয়েছে, হত্যালীলায় নিজেদের পরিকল্পনা অনেকটা বদলেছে আইএস। একসঙ্গে অনেককে দিয়ে জঙ্গি আক্রমণ করার বদলে এক একজনকে দিয়ে আক্রমণ করানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে।
সূত্রের খবর, এর পাশাপাশি হত্যার জন্য স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহারের বদলে গলা কেটে, কুপিয়ে খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ঠিক সেভাবেই ঢাকার গুলশনে জঙ্গিরা পণবন্দিদের হত্যা করে রক্তবন্যা বইয়েছে। জঙ্গিদের কাছে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র থাকলেও কাউকে গুলি না করে গলা কেটে বীভৎসভাবে খুন করা হয়েছে।
বর্ধমান থেকে ধরা পড়া মুসাও সেভাবে হত্যালীলা চালাতেই ধর্মতলা থেক অস্ত্র কিনে নিয়ে ট্রেন ধরে চলেছিল বীরভূমের লাভপুরে। তবে মাঝপথে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও এইবিষয়ে আরও নিশ্চিত হতে দেশজুড়ে তদন্ত চলবে বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে। মুসার কথায় যদি সারবত্তা থাকে তাহলে তা গভীর চিন্তার বিষয় বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।