ISF-এর অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের ব্যাপক লাঠিচার্জ! রণক্ষেত্র ধর্মতলা, গ্রেফতার নওসাদ সিদ্দিকি
আইএসএফের অবরোধ তুলতে গেলেই একেবারে ধুন্ধুমার কাণ্ড। ভাঙরের ঘটনার প্রতিবাদে ধর্মতলা অবরোধ করে রাখেন আইএসএফের নেতাকর্মীরা। প্রায় আধঘন্টারও
আইএসএফের অবরোধ তুলতে গেলেই একেবারে ধুন্ধুমার কাণ্ড। ভাঙরের ঘটনার প্রতিবাদে ধর্মতলা অবরোধ করে রাখেন আইএসএফের নেতাকর্মীরা। প্রায় আধঘন্টারও বেশি সময় ধরে চলে সেই অবরোধ। আর যার জেরে কলকাতার একটা অংশ সম্পূর্ণ ভাবে থমকে যায়। বিশেষ করে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল।
আর সেই অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। আর এরপরেই রণক্ষেত্র অবস্থা তৈরি হয় বলে অভিযোগ।
উত্তপ্ত ভাঙর
আজ শনিবার ধর্মতলাতে আইএসএফের একটি সভা ছিল। আর সেই সভাতে আসা নিয়ে এদিন সকাল থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ ছড়ায় ভাঙর সহ বিস্তীর্ন এলাকাতে। এমনকি পতাকা লাগানো কেন্দ্র করেও তৃণমূল এবং আইএসএফের মধ্যে সংঘাত ভয়ঙ্কর আকার নেয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে গুলি বোমা চলে বলেও অভিযোগ। শুধু তাই নয়, আইএসএফের বিধায়ন নওসাদ সিদ্দিকির গাড়িও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। যা নিয়ে রীতিমত ব্যাপক পরিস্থিতি তৈরি হয়। '
আঁচ এসে পড়ে ধর্মতলাতে।
আর এই ঘটনার আঁচ এসে পড়ে ধর্মতলাতে। সভার পরেই রাস্তা অবরোধে নামেন আইএসএফ নেতা-কর্মীরা। বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকির উপর হামলার প্রতিবাদ এবং আরাবুল ইসলামকে গ্রেফতারের দাবিতে এই অবরোধের ডাক দেওয়া হয়। আর এরপরেই একেবারে কলকাতার মূল কেন্দ্র ধর্মতলা অবরোধ করে বসে যান আইএসএফ নেতা-কর্মীরা। যার জেরে একেবারে থমকে যায় যান চলাচল। সমস্যায় পড়ে যায় নিত্য যাত্রীরা।
পুলিশ এবং আইএসএফের মধ্যে এই খন্ডযুদ্ধ।
যদিও পুলিশের তরফে প্রথমে অবরোধ তুলে নেওয়ার আবেদন জানানো হলেও তা শোনা হয়নি বলে অভিযোগ। এরপরেই পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ শুরু করে দেয় বলে অভিযোগ। আর এরপরেই পরিস্থিতি রীতিমত অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। পালটা পুলিশকে লক্ষ্য করে তেড়ে যান আইএসএফ কর্মীরা। একেবারে বাশ-লাঠি হাতে তেড়ে যান তাঁরা। প্রানে বাঁচতে উল্টো দিকে ছুটতে শুরু করে পুলিশ। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই বিশাল ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়তে শুরু করেন পুলিশ আধিকারিকরা। প্রায় ঘন্টাখানেক ধরে চলে পুলিশ এবং আইএসএফের মধ্যে এই খন্ডযুদ্ধ।
গ্রেফতার নওসাদ
আর এই ঘটনার মধ্যেই গ্রেফতার করা হয় আইএসএফ বিধায়ক নওসাদকে। একেবারে টেনে হিঁচড়ে পুলিশ তাঁকে গাড়িতে তোলে বলে অভিযোগ। তাঁর সঙ্গেই আরও বেশ কয়েকজনকে গ্রতেফতার করা হয়েছে। সবাইকে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর। বিধায়ককে গ্রেফতারের পরেই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়েছে বলে দাবি।
ঘটনার পর কয়েক ঘন্টা কেটে গেলেও উত্তেজনা রয়েছে। বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা রয়েছে এলাকাতে। এছাড়াও পুলিশের তরফে এরিয়া ডোমিনেশনের কাজ চালানো হচ্ছে বলে খবর।