সহকর্মীর সঙ্গে স্বামীর পরকীয়া জানতে পেরেছিল স্ত্রী! তারপরই কি ঘটে মর্মান্তিক-কাণ্ড
বাগুইআটিতে গৃহবধূ অন্তরা সরকার মৃত্যু-রহস্যে নয়া মোড়। এর আগে পর্যন্ত অন্তরার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে এসেছিল। এবার সামনে এল অন্তরার স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক।
বাগুইআটিতে গৃহবধূ অন্তরা সরকার মৃত্যু-রহস্যে নয়া মোড়। এর আগে পর্যন্ত অন্তরার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে এসেছিল। এবার সামনে এল অন্তরার স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। তাঁর এক সহকর্মীর নাম উঠে এসেছে অন্তরা মৃত্যু রহস্যে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন ওই রহস্যময়ী সুরজিতেরই সহকর্মী।
অন্তরার পর তাঁর স্বামী সুরজিতেু মোবাইল পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, ওই সহকর্মীর সঙ্গে সুরজিতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। ফোন-চ্যাটে সর্বক্ষণ তাঁদের দুজনের কথা হল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এই সম্পর্কের কথা জেনে গিয়েছিল অন্তরা। তারপরই অন্তরার মৃত্যু হয়।
এখন প্রশ্ন, স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ফাঁস হওয়ার জন্যই কি প্রাণ গেল অন্তরার? সেই প্রশ্নটাই ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, লাগাতার জেরায় সম্পর্কের কথা স্বীকার করে নিয়েছে সুরজিত। জানিয়েছে, ওই মহিলা তাঁর অফিসের সহকর্মী। এর আগে সুরজিৎ জানিয়েছিল, এক যুবকের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল। ওই যুবকেক সঙ্গে তাঁর স্ত্রী একটি সফটওয়্যার ব্যবসাও খুলেছিল। তারপর থেকেই ঘনিষ্ঠতা।
সুরজিতের সেই দাবি অবশ্য খারিজ করে দেয় অন্তরার বাপের বাড়ির লোকেরা। তাঁদের স্পষ্ট অভিযোগ অন্তরাকে খুন করেছে সুরজিৎ। এখন অন্তরাকে বদনাম করার চেষ্টা করছে। সে ও তার বাড়ির লোক অন্তরাকে প্ররোচনা দিত আত্মহত্যায়।
এর মধ্যে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, অন্তরা তাঁর এক 'বন্ধু'কে ১০ দিনে ৯৭ বার ফোন করেছিলেন। এমনকী মৃত্যুর আগে তাঁকে ৫০ মিনিট ফোন করা হয়েছিল। তারপরই ব্লক করে দেওয়া হয় নম্বর। ফলে অন্তরার রহস্য মৃত্যুর পিছনে ওই ব্যক্তির ভূমিকাও খতিয়ে দেখে পুলিশ। তাঁকে ও অন্তরার স্বামীকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়। এখন আবার এই মৃত্যু রহস্যে উটে এল সুরজিতের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কাহিনি।