বর্ষা আসতেই বন্যা মোকাবিলায় তৎপরতা রাজ্যের, ডিভিসিকে বার্তা নয়া সেচমন্ত্রীর
বর্ষা মানেই ফি বছর বন্যা। আগাম ব্যবস্থা গ্রহণ করল রাজ্য সরকার। সাতদিনও হয়নি সেচমন্ত্রী বদল হয়েছে। নতুন সেচমন্ত্রী দায়িত্ব নিয়েই ডিভিসির সঙ্গে বৈঠকে বসলেন।
মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করেছে বঙ্গে। বর্ষা শুরু। আর বর্ষা মানেই ফি বছর বন্যা। ডিভিসি জল ছাড়লেই ভাসে হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, বর্ধমানের একাংশ। এবারও যাতে সেই পরিস্থিতি তৈরি না হয়, তার জন্য আগাম ব্যবস্থা গ্রহণ করল রাজ্য সরকার। সাতদিনও হয়নি সেচমন্ত্রী বদল হয়েছে। নতুন সেচমন্ত্রী দায়িত্ব নিয়েই ডিভিসির সঙ্গে বৈঠকে বসলেন।
ডিভিসি জল ছাড়া মানেই বন্যা। এটাই নিয়ম হয়ে গিয়েছে রাজ্যের। সেই পরিস্থিতি থেকে রাজ্যকে রক্ষা করতে বিশেষ প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে সেচ দফতর। বর্ষা নামার আগেই বন্যা মোকাবিলায় সঠিক পরিকল্পনা তৈরি করতে বিশেষ বৈঠকে বসেছেন সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র।
তিনি মনে করেন, ডিভিসির সঙ্গে সমন্বয়ের অভাবেই বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা দুষ্কর হয়ে পড়ে। গত দু বছর ধরেই এই দফতর সমন্বয় রেখে চলার চেষ্টা করছে। সেই সমন্বয়কে আরও উন্নীত করতে হবে। একেবারে বর্ষার মুখে দায়িত্ব পেয়েছি, তবে সমস্তরকম চেষ্টা থাকবে বন্যা নিয়ন্ত্রণের।
কেন্দ্রীয় সংস্থা দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন তথা ডিভিসির সঙ্গে এদিন বৈঠক হয়। জলসম্পদ ভবনে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সেচ দফতরের আধিকারিক, ডিভিসির আধিকারিক ও আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকরাও। এদিন বৈঠকে আলোচনা হয়, যাতে রাজ্যকে জানিয়ে বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়া হয়।
রাজ্যে বর্ষা নেমে যাওয়ায় বন্যা নিয়ন্ত্রণে যে রাজ্য বিশেষ তৎপর, তা পরিষ্কার মুখ্য সচিব মলয় দে ডিভিসিকে নিয়ে আলাদা করে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায়। মঙ্গলবার নবান্নে ফের বৈঠক হবে ডিভিসি কর্তাদের সঙ্গে। ডিভিসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পিকে মুখোপাধ্যায় ছাড়াও থাকবেন সেচমন্ত্রী, সেচ দফতরের সচিব-সহ শীর্ষ আধিকারিকরা।