পাতে কি যেত চিড়িয়াখানার বাঘের উচ্ছিষ্ট মাংসও? কিন্তু কীভাবে
চিড়িয়াখানার বাঘের উচ্ছিষ্ট মাংসও কি যেত মানুষের পাতে। এমনই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মাছের খাবারের জন্য রামপ্রীত দাস নামে এক ব্যক্তি চিড়িয়াখানা থেকে নিয়ে যেতেন সেই মাংস। ভাগাড় কাণ্ড সামনে আসার পর শুক্রবার থেকে সেই ব্যক্তির সন্ধান শুরু করেছে পুলিশ।

কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানায় বাঘ, সিংহ, হায়নার জন্য প্রতিদিন প্রায় ১২০-১২৫ কেজি মাংস আনে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। তবে এই পশুদের খাওয়ার পরও প্রতিদিনই বেঁচে যায় প্রায় ১৫ কেজি মাংস। নিয়ম অনুযায়ী, সেই মাংস বাঘ সিংহকে আর খেতে দেওয়া হয় না। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ সেই মাংস সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মাসে ২৬০০ টাকার বিনিময়ে রামপ্রীত দাস নামে এক ব্যক্তিকে নিযুক্ত করেছিলেন। যদিও সেই ব্যক্তির ফোনও নম্বর রাখেনি চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। উচ্ছিষ্ট মাংস আদৌ মাছের ভেড়িতে সরবরাহ করা হয় কিনা তা খতিয়ে দেখতে চান তদন্তকারীরা।
শুক্রবার পুরসভার কর্তাদের নিয়ে চিড়িয়াখানায় হানা দিয়েছিলেন মেয়র পারিষদ স্বাস্থ্য অতীন ঘোষ। পশুদের মাংস কোথা থেকে কী ভাবে আনা হয়, সেই বিষয়ে খোঁজ খবর করতে গিয়েই এই উচ্ছিষ্ট মাংসের কথা বেরিয়ে পড়ে।
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, স্বীকৃত একটি সংস্থা পশুদের জন্য মাংস সরবরাহ করে। দরপত্র ডেকে মাংস কেনা হয়। সেই মাংস কেটে বাঘ সিংহকে দেওয়ার আগে পশু চিকিৎসকরা তা পরীক্ষা করেন দেখেন।
এদিন চিড়িয়াখানার বাইরের রেস্তোরাঁগুলিতেও অভিযান চালান পুরসভার আধিকারিকরা।