জ্বালানি প্রায় শেষ! তড়িঘড়ি ইন্ডিগোর বিমান নামল কলকাতায়, স্বল্পে রক্ষা ১৪১ প্রাণ
জ্বালানি প্রায় শেষ! তড়িঘড়ি ইন্ডিগোর বিমান নামল কলকাতায়, স্বল্পে রক্ষা ১৪১ প্রাণ
মাঝ আকাশে বিমানে আগুন লেগে বিপত্তি ঘটেছিল কয়েকদিন আগে। পর পর তিনবার স্পাইস জেটের বিমানে আগুন লাগার ঘটনার পর এবার বিপাকে পড়ল ইন্ডিগোর বিমান। ইন্ডিগোর বিমান জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ায় জরুরি অবতরণ করতে হল। ১৪১ জন যাত্রীকে নিয়ে বিমানটি জরুরি অবতরণ করল কলকাতা বিমানবন্দরে।
দিন ১৫-র মধ্যে তিনবার স্পাইস জেটের বিমানে আগুন ধরে যায়। পাটনার পর দিল্লির আকাশে আগুন লাগায় স্পাইসজেট বিমান দিল্লি বিমানবন্দরে নিরাপদে জরুরি অবতরণ করে। এবার জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ায় ইন্ডিগোর বিমান তড়িঘড়ি নামাতে হল কলকাতা বিমান বন্দরে। ১৪১ জন যাত্রী নিরাপদে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
বিমানটি নামার কথা ছিল ইম্ফল বিমানবন্দরে। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ থাকার জন্য বিমানটি নামতে পারেনি। মাঝ আকাশে চক্কর কাটতে শুরু করে বিমানটি। এই অবস্থায় জ্বালানিও শেষ হয়ে যেতে থাকে। তখনই বাধ্যতামূলকভাবে কলকাতা বিমানবন্দরে জরুরি ভিত্তিতে অবতরণ করাতে হয় ইন্ডিগোর বিমানটিকে।
ইন্ডিগোর ৬ই২৬১৫ বিমানটি দিল্লি থেকে ইম্ফল যাচ্ছিল। কিন্তু ইম্ফল বিমানবন্দরে খারাপ আবহাওয়া বাধ সাধে। ফলে বিমানটি বিমানবন্দরে না নেমে আকাশে চক্কর কাটতে থাকে। বেশ খানিকক্ষণ চক্কর কাটার পরও স্বাভাবিক হয়নি পরিস্থিতি। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ইন্ডিগোর বিমানটিকে নামতে বাধা দেয়। পাইলট যখন দেখেন জ্বালানি শেষ হয়ে যাচ্ছে কিন্তু পরিস্থিতি অনুকূল হচ্ছে না, তখনই সিদ্ধান্ত নেন কাছাকাছি কোনও বিমানবন্দরে তা নামানোর।
সেইমতো বিমনটিকে কলকাতা বিমানবন্দরে নামানোর সিদ্ধান্ত হয়। পাইলট এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বা এটিসির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি জানান, জ্বালানি শেষের পথে। তাই যে কোনও বিমানবন্দরে নামাতে হবে বিমানটি। আবহাওয়া খারাপ থাকায় ইম্ফলে তা নামানো যাচ্ছে না। তখন কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সেখানে নামানো হয়।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, আবহাওয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলেই বিমানটি ফের কলকাতা থেকে যাত্রা শুরু করবে ইম্ফলের উদ্দেশে। ইম্ফলে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানিও ভরে নেওয়া হয়েছে। কয়েকদিন ধরেই উত্তর-পূর্ব ভারতের আবহাওয়ার পরিস্থিতি ভয়াবহ। নাগাড়ে বৃষ্টি চলছে। আকাশে দৃশ্যমানতাও খুব কম।
এমন প্রতিকূল অবস্থা বিমান নামানোর উপযোগী ছিল না বলেই ইম্ফল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বিমানটিকে নামার অনুমতি দেয়নি। তার ফলে মাঝ আকাশেই চক্কর দিতে থাকে বিমানটি। বিমানবন্দর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে রানওয়ের অবস্থাও নামার উপযোগী ছিল না। জল জমে ছিল। তাই ঝুঁকি নেয়নি কর্তৃপক্ষ।