কালো টাকার উৎস খুঁজতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে কলকাতা জুড়ে আয়কর হানা
কলকাতা জুড়ে তল্লাশি আয়কর দফতরের। অন্তত ১৫০ জনের একটি টিম শহরের বিভিন্ন অংশে তল্লাশি চালাচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। বেশ কিছু নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এই তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
কলকাতা জুড়ে তল্লাশি আয়কর দফতরের। অন্তত ১৫০ জনের একটি টিম শহরের বিভিন্ন অংশে তল্লাশি চালাচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। বেশ কিছু নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এই তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
তিনটি নির্মান সংস্থার অফিস এবং সেই সমস্ত সংস্থার ডাইরেন্টরদের বাড়িতেও এই অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। আর এই অভিযান ঘিরে শুরু হয়েছে নয়া বিতর্ক। শুধু তাই নয়, শহর জুড়ে কার্যত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
একাধিক ভুয়ো কোম্পানি খোলা হয়েছিল।
আয়কর দফতর সূত্রে খবর, একাধিক ভুয়ো কোম্পানি খোলা হয়েছিল। আর সেই সমস্ত কোম্পানির মাধ্যমে প্রচুর কালো টাকা বিভিন্ন জায়গাতে ছড়িয়ে পড়ছিল অভিযোগ। শুধু তাই নয়, কলকাতার বিভিন্ন প্রজেক্টেও সেই টাকা লাগানো হচ্ছিল বলে দাবি আয়কর দফতরের। এই তথ্য তদন্তকারী আধিকারিকদের কাছে আসার পর থেকেই এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করে আয়কর দফতর। গত তিন মাস ধরে এই বিষয়ে তথ্য এবং প্রমাণ জোগাড় করার কাজ শুরু করেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা।
তথ্য জোগাড় করার চেষ্টা
এরপরেই বেশ কিছু তথ্য হাতে আসে তদন্তকারী আধিকারিকদের। আর তা আসতেই কলকাতার অন্তত ৩০ টি জায়গাতে এদিন সকালে পৌঁছে যান আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। একেবারে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে এই তল্লাশি অভিযান চলছে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রে খবর, ওই তিন নির্মান সংস্থার অফিস, শাখা এবং বিভিন্ন কর্মীদের অফিসেও আয়কর দফতরের তল্লাশি চলছে বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি কর্মচারী এবং ডিরেক্টরদের জেরা করা হচ্ছে। কীভাবে এই টাকা আসত তা জানার চেষ্টা করছেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। এমনকি কলকাতার কোন কোন প্রজেক্টে এই টাকা লাগানো হয়েছে সে বিষয়েও তথ্য জোগাড় করার চেষ্টা করছেন আধিকারিকরা।
৩০ টি জায়গাতে এই তল্লাশি অভিযান
সূত্রে খবর, এলগিন রোড, ব্রেবোন রোড, পার্ক সার্কাস সহ কলকাতা ৩০ টি জায়গাতে এই তল্লাশি অভিযান আয়কর দফতরের তরফে চালানো হচ্ছে। নিয়োগ সংক্রান্ত কেলেঙ্কারি এবং গরু পাচার কান্ডের তদন্ত চলছে বাংলায়। সিবিআই এবং ইডির জালে একের পর প্রভাবশালী ধরা পড়ছে। ইতিমধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অনুব্রত মন্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যা নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার রাজনীতি নিয়ে অভিযোগ শাসক তৃণমূলের। যদিও এই বিষয়ে অস্বীকার করেছে বিজেপি। আর এর মধ্যেই আয়কর দফতরের এই তল্লাশি ঘিরে শুরু হয়েছে জোর তল্লাশি।
অতীত ভুলে আরও কাছে ইজরায়েল এবং তুরস্ক! রাষ্ট্রদূত ফেরাল দুই দেশই