পুলিশ-পুরসভার কড়া প্রহরায় প্রতিমা নিরঞ্জন গঙ্গার ঘাটে, কার্নিভালের আগে জোর তৎপরতা
কড়া পুলিশি প্রহরার মধ্য দিয়েই রবিবার গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে চলছে প্রতিমা নিরঞ্জন। এদিন সন্ধ্যা থেকে ৫০টিরও বেশি প্রতিমা নিরঞ্জন হয়েছে।
কড়া পুলিশি প্রহরার মধ্য দিয়েই রবিবার গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে চলছে প্রতিমা নিরঞ্জন। এদিন সন্ধ্যা থেকে ৫০টিরও বেশি প্রতিমা নিরঞ্জন হয়েছে। এবছর ১৯ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর সোমবার পর্যন্ত বিসর্জন পর্ব চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। রবিবার অপেক্ষাকৃত বেশি প্রতিমা নিরঞ্জন করার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়।
শুক্রবার থেকেই চলছে প্রতিমা নিরঞ্জন। রবিবারের পর আর একদিন প্রতিমা নিরঞ্জন হবে। তার পরদিন দুর্গা কার্নিভাল। দুর্গা কার্নিভালে অংশ নেওয়া ৭৫টি প্রতিমাই শুধু নিরঞ্জন হবে ওইদিন। এদিন সকাল ৯ টা থেকে প্রতিমা নিরঞ্জন শুরু হয়। দুপুর ১২টার আগে পর্যন্ত মাত্র ১০টি প্রতিমা নিরঞ্জন হয়। তবে দুপুরের পর প্রতিমা আসার সংখ্যাটা বাড়ে। সন্ধ্যা পর্যন্ত পঞ্চাশটির বেশি নিরঞ্জন হয় বলে জানা গিয়েছে।
এবছর বনেদিবাড়ি ও বারোয়ারি মিলিয়ে শহরে চার হাজারের কাছাকাছি পুজো হয়। এর মধ্যে কলকাতার ২৪টি গঙ্গার ঘাট-সহ জেলার মোট ৭০টি ঘাটকে প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এছাড়াও কলকাতা ও রাজ্য প্রশাসনের তরফে বিসর্জনের সময় 'ডিজে' অথবা বিপদসীমার বাইরে গিয়ে মাইক বাজানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
লালবাজার সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বিসর্জনের দিনগুলিতে গঙ্গায় নজরদারির জন্য স্পিড বোট, লঞ্চ, ডুবুরি থাকছে। থাকছে সিসিটিভির নজরদারি। কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ২৪টি ঘাটে বিশেষ ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। দূষণ রুখতে পুরসভার তরফে প্রতিমার কাঠামো সঙ্গে সঙ্গে তুলে নেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। ফুল, বেলপাতা-সহ পুজোর আচার-অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত সামগ্রী নদী বা জলাশয়ে না ফেলার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
প্রত্যেক বছরের মতো এবারেও দুর্গাপুজোর প্রতিমা নিরঞ্জন ঘিরে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হয় গঙ্গার ঘাটগুলিতে। তা সত্ত্বেও শুক্রবার রাতে হাওড়ায় তলিয়ে যাওয়া এক যুবকের মৃত্যুতে পুলিশের ওপর যথেষ্ট চাপ আসে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও ওঠে প্রশ্ন।