দেশদ্রোহী মন্তব্যের জের, শাহী ইমামের পদ থেকে অপসারিত বরকতি
তাঁর দেশবিরোধী কথাবার্তায় মুসলিম সমাজের কাছে অন্য বার্তা যাচ্ছে এই অভিযোগ ওঠে। তারপরই টিপু সুলতান মসজিদের শাহী ইমামের পদ থেকে বরকতিকে সরিয়ে দেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়।
টিপু সুলতান মসজিদের শাহী ইমাম পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল মৌলান নুর রহমান বরকতিকে। বুধবার বরকতিকে সরকারিভাবে অপসারণের কথা জানিয়ে দিল প্রিন্স গুলাম মহম্মদ ওয়াকফ স্টেট। স্টেটের পক্ষ থেকে একটি চিঠিও পাঠানো হয়। যেখানে তাঁর অপসারণের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয় দেশদ্রোহী মন্তব্য।
সম্প্রতি দেশদ্রোহী মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। শাহী ইমাম বলেন পাকিস্তানের হয়ে লড়ার কথা। তাঁর দেশবিরোধী কথাবার্তায় মুসলিম সমাজের কাছে অন্য বার্তা যাচ্ছে অভিযোগ ওঠে। তাই তাঁকে টিপু সুলতান মসজিদের শাহী ইমামের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়।
একপ্রকার ঘোষণা আগেই হয়ে গিয়েছিল। শুধু সরকারিভাবে তাঁকে পদ থেকে অপসারিত করা বাকি ছিল। এবার তাও সেরে ফেলল ওয়াকফ স্টেট। ট্রাস্টি বোর্ডের প্রধান জানান, বরকতি সাহেব আর শাহী ইমাম থাকছেন না। মসজিদ কমিটিই তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে ঐক্যমত্য হয়েছে। তাঁকে বরখাস্তের চিঠিও দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যে।
১৯৮৮ সাল থেকে তিনি ইমাম পদে নিযুক্ত ছিলেন টিপু সুলতান মসজিদে। এজন্য তাঁকে নির্দিষ্ট বেতন দেওয়া হত। সম্প্রতি তাঁর কার্যকলাপ নিয়ে বিব্রত ছিল ওয়াকফ স্টেট। তাঁকে জবাবদিহি করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি কোনও জবাবদিহি করেননি। এমনকী শোকজের চিঠিরও জবাব দেননি বরকতি সাহেব।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে ট্রস্টি বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহর, মারধরের অভিযোগ ওঠে। বোর্ড অফিসের চবি চুরির অভিযোগ ওঠে। বোর্ডের অফিসে তালা লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআরও হয় থানায়। সম্প্রতি গাড়িতে লালবাতির ব্যবহার নিয়েও তিনি বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন।
{promotion-urls}