রমজান মাসে ভোট নয়, ইমাম-সহ মুসলিম সংগঠনগুলি কী দাবি রাখলেন কমিশনে
রমজান মাসে ভোট চান না। সেই দাবিতে প্রায় ৪০টি মুসলিম সংগঠনকে নিয়ে কলকাতার নাখোদা মসজিদের ইমাম নিজেই গেলেন নির্বাচন কমিশনে।
রমজান মাসে ভোট চান না। সেই দাবি নিয়ে কলকাতার নাখোদা মসজিদের ইমাম নিজেই গেলেন নির্বাচন কমিশনে। প্রায় ৪০টি মুসলিম সংগঠনকে নিয়ে তিনি দাবি জানালেন, রমজান মাসে ভোট হলে সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা বিশেষ সমস্যায় পড়বেন। সেদিকটি বিশেষভাবে দৃষ্টি দেওয়ার আর্জি জানানো হয় তাঁদের পক্ষ থেকে।
বুধবার নাখোদা মসজিদের ইমাম মুসলিম যুব ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে হাজির হন নির্বাচন কমিশনে। নির্বাচন কমিশনার অমরেন্দ্রকুমার সিংয়ের সঙ্গে তাঁরা সাক্ষাৎ করেন। মুখোমুখি আলোচনায় মুসলিমদের সংগঠনের দাবি, আপনার হাতে ক্ষমতা রয়েছে, আপনি একটা ব্যবস্থা করুন। রমজান মাসের আগে যাতে ভোট প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যায়, তার আর্জি জানান ইমাম-সহ মুসলিম সংগঠনের নেতারা।
এই বৈঠকে নির্বাচন কমিশন প্রস্তাব দেয়, যদি একদিন রমজান মাসের মধ্যে ভোট হয়, তাহলে কি কোনও সমস্যা হবে? মুসলিম সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভোট গণনা রমজান মাসের মধ্যে হলে তবু তা অসুবিধা করেও মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু ভোট হলে তা মহাসমস্যার। কারণ সংখ্যালঘু মুসলিমরা এই সময়ে রোজা করে।
নির্বাচন কমিশনার অমরেন্দ্রকুমার সিং বিষয়টি বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন। রমজান মাসের কথা চিন্তা করেই ভোটের নির্ঘন্ট প্রকাশ করা হবে। রাজ্যও ইতিমধ্যে জানিয়েছে, রমজান মাসের মধ্যে ভোট করা হোক। প্রয়োজনে এক দফায় ভোটের পক্ষেও সওয়াল করেন রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি।
কিন্তু নির্বাচন কমিশন চাইছে তিন দফায় ভোট হোক। নিদেন পক্ষে ভোট হোক দু-দফায়। এই বিতর্কেই থমকে আছে রাজ্যের পঞ্চায়েত ভূোট নির্ঘণ্ট। সংখ্যালঘু সংগঠনের পক্ষ থেকে এদিন জানানো হয়, ভোট নির্ঘণ্ট যদি রমজান মাসের মধ্যে চলে যায়, তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন। উল্লেখ্য, গতবার মামলায় হেরে গিয়েছিল সংখ্যালঘু সংগঠন।
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতেই কি রাজ্যে আরও এক পরিবর্তন! কি বলছে আইবি-র রিপোর্ট ]