নিজে থেকে চাকরি না ছাড়লে কড়া ব্যবস্থা! স্পষ্ট বার্তা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে একেবারে কড়া বার্তা কলকাতা হাইকোর্টের। মোটা টাকা দিয়ে যারা চাকরি পেয়েছেন তাঁদের নিজে থেকেই ইস্তফা দেওয়ার কথা বললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, যদি নিজে থেকে ইস্তফা না দেয় তাহলে চাকরি থেক
নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে একেবারে কড়া বার্তা কলকাতা হাইকোর্টের। মোটা টাকা দিয়ে যারা চাকরি পেয়েছেন তাঁদের নিজে থেকেই ইস্তফা দেওয়ার কথা বললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, যদি নিজে থেকে ইস্তফা না দেয় তাহলে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে বলেও জানিয়েছেন বিচারপতি।
এমনকি আগামিদিনে যাতে কোনও সরকারি চাকরি না পায় সেই পদক্ষেপও নেওয়া হবে বলে স্পষ্ট বার্তা কলকাতা হাইকোর্টের। আর তা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। রাজ্যে স্কুলশিক্ষক এবং অ-শিক্ষকদের নিয়োগে দুর্নীতি ইস্যুতে তদন্ত করছে সিবিআই।
আজ বুধবার এই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি হয়। আর সেই শুনানিতেই একের পর এক তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর পর্যবেক্ষণ, নবম - দশম এবং একাদশ - দ্বাদশে প্রচুর সংখ্যক সাদা খাতা জমা দেওয়া হয়েছে। এমনকি প্রচুর খাতায় শুধুমাত্র ৫-৬ টি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে বলেও রিপোর্ট দেখে মন্তব্য বিচারপতির। গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি তেও একই জিনিস হয়েছে বলেও আদালতে পর্যবেক্ষণ তাঁর।
আর এরপরেই আদালতের নির্দেশ, এরা সবাই সুপারিশ পত্র ও নিয়োগ পত্র পেয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। শুধু তাই নয়, অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নিজেদের মধ্যে বৈঠক করবে বলেও নির্দেশে জানিয়েছেন বিচারপতির। একই সঙ্গে সিবিআইয়ের থেকে এই সব তথ্য নিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশন জানাবে এদের মধ্যে কতজন অবৈধভাবে সুপারিশ পত্র পেয়েছেন? এমনকি মামলকারির আইনজীবীরাও কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে অবৈধভাবে নিযুক্তদের সংখ্যা খুজে বের করবে বলেও নির্দেশ বিচারপতির।
এদিন মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের আরও পর্যবেক্ষণ, সিবিআই নিশব্দে দিল্লি ও গাজিয়াবাদে হানা দিয়ে মূল নথি উদ্ধার করতে পেরেছে। তারপর তারা স্কুল সার্ভিস কমিশনের তথ্যর সঙ্গে যাচাই করছে। কালপ্রিটকে ধরতে হবে বলেও রিপোর্ট দেখে এদিন মন্তব্য করেন বিচারপতির।
পাশাপাশি সিবিআইয়ের কাজে এদিন সন্তোষ প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, রিপোর্ট দেখে মনে হচ্ছে সিবিআই ভালো কাজ করছে, তাদের ধন্যবাদ। তারা নিশব্দে অনেক অগ্রগতি করেছে। মূলচক্রীকে খুজে বের করতে পারবে বলে আদালত আশাবাদী। দেশকে বাঁচাতে সিবিআই আধিকারিকদের নিজেদের দ্বায়িত্ব পালন করতে হবে। যেকোন ভাবেই দেশকে বাঁচাতে হবে, সেজন্যই সিবিআই, ইডি এবং অন্যান্য তদন্তকারী সংস্থা গুলি আছে। - মন্তব্য বিচারপতির।
আর এরপরেই যারা অবৈধ ভাবে চাকরি পেয়েছেন তাদের নিজে থেকে পদত্যাগ করা উচিত বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। আগামী ৭ ই নভেম্বরের মধ্যে তারা পদত্যাগ করবেন বলে আদালত প্রত্যাশা করে। তা না করে তারা যদি নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকেন তাহলে আদালত কড়া পদক্ষেপ নেবে বলে বার্তা।