অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রীকে লাগাতার ধর্ষণ, বিভীষিকার রাত কাটিয়ে শেষে আইনের দ্বারস্থ নিগৃহীতা
নিজের অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রীকে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ উঠল স্বামীক বিরুদ্ধে। শুধু অভিযোগই নয়, স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশ ও আদালতের দ্বারস্থও হলেন স্ত্রী।
নিজের অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রীকে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ উঠল স্বামীক বিরুদ্ধে। শুধু অভিযোগই নয়, স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশ ও আদালতের দ্বারস্থও হলেন স্ত্রী। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা শহর কলকাতার উপকণ্ঠে সিঁথিতে। অভিযোগ, সন্তানের ক্ষতি হতে পারে জেনেও স্ত্র্রী সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করত স্বামী। বাধা দিলেও ধর্ষণ করত জোর করে।
পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নেমে জানতে পারে, ২০১৭ সালের অক্টোবরে এক ওয়েবসাইটের মাধ্যমে হুগলির চুঁচুড়ার বাসিন্দার সঙ্গে পরিচয় হয় ওই যুবতীর। তখন নিজেকে বেসরকারি ব্যাঙ্কের আধিকারিক বলে পরিচয় দেন ওই যুবক। এর কয়েকদনি পর তরুণীকে নিজের কেষ্টপুরের ফ্ল্যাটে নিয়ে যান তিনি।
[আরও পড়ুুন: পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিল স্ত্রী! সন্দেহের বশে স্বামীর 'কীর্তি' জানলে আঁতকে উঠবেন]
অভিযোগ ওই ফ্ল্যাটে নিয়ে গিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়। তারপর দিন দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে গিয়ে তাঁরা বিয়েও করেন। কিছুদিন পর দুই পরিবারের সম্মতিতে তাঁদের জাঁকজমক করে বিয়ে হয় সামাজিক রীতি-নীতি মেনে। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই তাঁর উপর যৌন অত্যাচার চালানো হত বলে অভিযোগ। অভিযোগ, স্ত্রী জানতে পারে তাঁর স্বামী ব্যাঙ্ককর্মী নন।
[আরও পড়ুন: ভগবান রাম মনুবাদী, হনুমান দলিত! যোগীর পর বিজেপি সাংসদের ব্যাখ্যায় নয়া বিতর্ক ]
তা নিয়ে অশান্তি তো হতই, পণের টাকা নিয়ে অশান্তি হত। এর মধ্যেই অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়েন স্ত্রী। কিন্তু তারপরও জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করত স্বামী। প্রতিটা রাত কাটত বিভীষিকার মতো। শেষপর্যন্ত এই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই পুলিশ ও আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। শ্বশুরবাড়ি ত্যাগ করে বাপের বাড়িতে চলে যান।
[আরও পড়ুন: ১০ দিনে ৯৭ বার ফোন কাকে! গৃহবধূর মৃত্যু রহস্যের নেপথ্যে কি তবে পরকীয়াই]