উত্তরপাড়ার ছায়া গড়িয়ায়, চাকরি না করায় স্বামীর রোষে স্ত্রী, অস্বাভাবিক মৃত্যু বধূর
চাকরি না করায় স্বামীর রোষে স্ত্রী। বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে চাপ দেওয়ার অভিযোগ। যার জেরে অস্বাভাবিক মৃত্যু গড়িয়া গৃহবধূর। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান আত্মহত্যা। স্বামী অর্ণব সাই গ্রেফতার
চাকরি না করায় স্বামীর রোষে স্ত্রী। বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে চাপ দেওয়ার অভিযোগ। যার জেরে অস্বাভাবিক মৃত্যু গড়িয়া গৃহবধূর। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান আত্মহত্যা। স্বামী অর্ণব সাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মার্চেই বিয়ে হয় অর্ণব-অনন্যার
চলতি বছরের মার্চে বিয়ে হয়েছিল, অর্ণব-অনন্যার। গড়িয়ার বোসপাড়ার বাসিন্দা অর্ণব সাইয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় অনন্যার।
বিয়ের পরেই নতুন ফ্ল্যাটে
বিয়ের পরেই তাঁরা গড়িয়ার সারদা পার্কে চলে যান নতুন ফ্ল্যাটে। ফ্ল্যাটে স্বামী অর্ণবের সঙ্গেই থাকতেন অনন্যা। পরিবারের অন্য সদস্যরা থাকেন অন্য জায়গায়।
স্বামী অর্ণবের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ
স্ত্রী উচ্চ শিক্ষিত। তাই তাঁকে চাকরি করতেই হবে। সবসময় এমনটাই বলতেন অর্ণব। অভিযোগ মৃত অনন্যার পরিবারের। বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে চাপ দেওয়া হত বলেও অভিযোগ। এমন কী চাকরি না করলে বাচ্চা হবে না বলেও হুমকি দিয়েছিলেন অর্ণব। সব মিলিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ।
ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ
শুক্রবার বাঁশদ্রোণী এলাকার সারদা পার্কের ফ্ল্যাট থেকে অনন্যার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। মিলেছে একটি সুইসাইড নোটও। সেখানে স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের কথা উল্লেখ করেছেন অনন্যা।
সুইসাইড নোটের সঙ্গে বাবা-মাকেও চিঠি লিখে গিয়েছে অনন্যা। চিঠিতে মাকে অনন্যা লিখেছেন, স্বামী বলেছে, চাকরি না পেলে তার বাচ্চা হবে না। এই অত্যাচার তিনি আর সহ্য করতে পারছেন না। বাবাকে অনন্যা লিখেছেন, ভেবো মেয়েকে অনেক দূরে বিয়ে দিয়েছ।
অর্ণবের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ
অনন্যার পরিবার অর্ণব সাইয়ের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে। স্থানীয়দের দাবি, আত্মহত্যার মতো সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো মানসিকতা ছিল না অনন্যার। অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে স্বামী অর্ণব সাইকে। মৃতদের ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এমআর বাঙুর হাসপাতালে।
উত্তরপাড়ার পারমিতা বক্সিও মাসখানের আগে আত্মহত্যা করেছিলেন। পারমিতা চাকরি করতে অনিচ্ছুক হলেও, তাঁকে চাকরি করতে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। একইসঙ্গে পারমিতার আয়ের পুরোটাই শ্বশুর বাড়িতে হাতে তুলে দিতে হচ্ছিল। সেই মানসিক চাপেই আত্মহত্যা করেছিলেন পারমিতা বক্সি।