শোভন-বৈশাখীর ‘পরকীয়া’ নিয়ে এবার মুখ খুললেন বৈশাখীর স্বামী, হানলেন ‘যুক্তি’র তির
মন্ত্রিত্বে ইস্তফা দেওয়ার পর কেটে গিয়েছে পুরো একটা দিন। যত সময় যাচ্ছে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে একটা বিষয নিয়েই আলোচনা- শোভন-বৈশাখীর ‘পরকীয়া’।
মন্ত্রিত্বে ইস্তফা দেওয়ার পর কেটে গিয়েছে পুরো একটা দিন। যত সময় যাচ্ছে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে একটা বিষয নিয়েই আলোচনা- শোভন-বৈশাখীর 'পরকীয়া'। শোভনের রাজনৈতিক জীবন কি কালবৈশাখী ঝড়েই শেষ হয়ে গেল? যখন এই প্রশ্ন তুলে দিলেন শোভন-পত্নী রত্না, তখন শোভন-বৈশাখীর 'পরকীয়া' নিয়ে মুখ খুললেন বৈশাখীর স্বামীও।
এদিন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ইস্তফা প্রসঙ্গে বৈশাখীর স্বামী মনোজিৎ মণ্ডল বলেন, আমি বৈশাখীর পাশেই দাঁড়াব। আমার স্ত্রী সম্পূর্ণ নির্দোষ। তাঁকে অযথা এই বিতর্কে জড়ানো হচ্ছে। রত্নাদেবী অযথা বৈশাখীকে কাঠগড়ায় তুলছেন। তাঁর কথায়, শোভনবাবুর মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা, পুরোপুরি তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।
শোভন ইস্তফা দিতেই তাঁর সঙ্গে বৈশাখীকে জড়িয়ে নানা আলোচনা চলছে। অনেকেই ব্যঙ্গ করে বলছেন, কালবৈশাখী ঝড়ে উড়ে গেলেন শোভন। শোভনের বর্তমান দশা নিয়ে নানা কটাক্ষও চলছে রাজনৈতিক মহলে। আর এই অবস্থাতেই সরব হলেন বৈশাখীর স্বামী মনোজিৎ। যাদবপুরের ইংরেজি অধ্যাপক স্ত্রীর পাশেই দাঁড়ালেন। মনোজিৎবাবু বুঝিয়ে দিলেন তাঁর স্ত্রীর উপর একশো শতাংশ ভরসা রয়েছে।
আমার স্ত্রী অনেক সাহায্য করেছেন শোভনবাবুকে। তখন রত্নাদেবীও সঙ্গে এসেছেন। আলাপ-আলোচনা করেছেন। আইনি ব্যাপারে নানা পরামর্শ নিয়েছেন। এদিন রত্নাদেবীর মন্তব্য প্রসঙ্গে মনোজিৎ বলেছেন, রত্নাদেবীর মন ভালো নেই, তাই ওসব কথা বলছেন। উনি যদি আমার স্ত্রীকে চড় মারেন, তাহলে আইনি ব্যবস্থা নেব। এছাড়া আমি বেআইনি কিছু বলতে চাই না। আর শোভনবাবুকে তিনি আবেগপ্রবণ মানুষ বলে ব্যাখ্যা করেন।