বিদ্বজ্জনেদের একাংশ ছাত্রদের পাশে! মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি সুজনের
হস্টেলের দাবিতে আন্দোলন করে আসা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক ছাত্রদের আন্দোলন নিয়ে জট অব্যাহত। রবিবার ১৩ দিনে পড়েছে এই অনশন আন্দোলন। বিদ্বজ্জনেদের একাংশ আন্দোলনরত ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
হস্টেলের দাবিতে আন্দোলন করে আসা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক ছাত্রদের আন্দোলন নিয়ে জট অব্যাহত। রবিবার ১৩ দিনে পড়েছে এই অনশন আন্দোলন। এদিন বিদ্বজ্জনেদের একাংশ আন্দোলনরত ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে রবিবার মুখ্যমন্ত্রী কোনও হস্তক্ষেপ না করলে সোমবার থেকে বাম ও কংগ্রেস বিধায়করা আন্দোলনরত ছাত্রদের পাশে গিয়ে বসবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ছাত্রদের পাশে বিদ্বজ্জনেরা
রবিবার আন্দোলনরত চিকিৎসক ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী। আন্দোলনরত ছাত্রদের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রেখে মুখ্যমন্ত্রী উদ্দেশ্যে আন্দোলনে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সব্যসাচী চক্রবর্তী, কৌশিক সেন, অশোক গাঙ্গুলি, প্রাক্তন উপাচার্য অশোকনাথ বসু-সহ অনেকেই। আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন কলকাতার এলজিবিটিকিউ কমিউনিটির সদস্যরা।
ছাত্রদের পাশে বাম ছাত্র-যুবরা
রবিবার আন্দোলনের সমর্থনে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে যায় এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই-এর সদস্যরা। সেখানে তাঁরা মিছিল করেন।
|
আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বাম নেতৃত্বের
আন্দোলনকারী ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলেন সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন রাজ্যে একটা অসুস্থ সরকার চলেছে। আন্দোলনকারী ছাত্রদের সমর্থনে টুইট করেছেন সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার আবেদন
এদিকে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য আন্দোলন তুলে নিতে রবিবার ফের ছাত্রদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। হস্টেলের ঘর নিয়ে সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
আন্দোলনকারী চিকিৎসক ছাত্রদের দাবি
১) মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সমেত যেসকল ছাত্রেরা হস্টেল পায়নি তিনবছর ধরে, এবং যারা পুরনো হস্টেলে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে থাকছে, তাদের স্বচ্ছ ও অরাজনৈতিক হস্টেল কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সিনিয়রিটি ও দূরত্বের ক্রমানুসারে কলেজের প্রত্যেকটি হস্টেল বিল্ডিংয়ে হস্টেল অ্যাকোমোডেশন দিতে হবে।
২) নতুন ছাত্র হস্টেলের সুপারিন্টেন্ডেন্ট কোনও তৃণমূলের এমবিবিএস পাস ছাত্রনেতাকে করা যাবে না। অন্যান্য হস্টেলের মত এমসিআই রেগুলেশন অনুযায়ী কোনও অ্যাসোসিয়েট/অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর/হেড অফ দ্য ডিপার্টমেন্টকে ওই হস্টেলের সুপারের পদ দিতে হবে।
৩) ছাত্রছাত্রীদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানে কলেজ ক্যাম্পাসে পুলিশ ঢুকিয়ে মার খাওয়ানো প্রিন্সিপালকে অবিলম্বে জবাবদিহি করতে হবে এবং পদত্যাগ করতে হবে।
৪) অবিলম্বে কলেজ কাউন্সিলের মিটিং ডেকে ছাত্রপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সমস্ত দাবিদাওয়া নিয়ে সুস্থ আলোচনা করতে হবে।