১১ দিনের অনশনে কার্যত অচলাবস্থা মেডিক্যালে! রাতে পুলিশ ঢোকা নিয়ে বিতর্ক
হস্টেলের দাবিতে মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের অনশন শুক্রবার ১১ তম দিনে পড়ল। অনশনের জন্য কার্যত অচলাবস্থা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে।
হস্টেলের দাবিতে মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের অনশন শুক্রবার ১১ তম দিনে পড়ল। অনশনের জন্য কার্যত অচলাবস্থা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে।
মেডিক্যাল কলেজে পুলিশ
বৃহস্পতিবার রাত দশটা নাগাদ দশটি থানায় সম্মিলিত বাহিনী হাসপাতাল চত্বরে ঢোকে। কিছুক্ষণের মধ্যে বেরিয়েও যায় পুলিশ। যদিও, পুলিশ ঢোকা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কেন পুলিশ এল, সেবিষয়ে কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও বিবৃতি মেলেনি।
অনশনে ইন্টার্নরাও
হস্টেলের দাবিতে প্রথমে ছয়জন পড়ুয়ার ১০ দিনের অনশন। পরিস্থিতির পরিবর্তন না হওয়ায় পরে তাতে যোগ দেন আরও ১০ পড়ুয়া। সব মিলিয়ে একুশজন এখন অনশনে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার তাদের সমর্থনেই ক্লাস বয়কট করেন তৃতীয় ও চতুর্থবর্ষের পড়ুয়ারা। সঙ্গে ছিলেন ইন্টার্ন ও হাউস স্টাফরাও। সব মিলিয়ে কার্যত অচলাবস্থা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে।
অনশনে অসুস্থ পড়ুয়ারা
অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন একাধিক পড়ুয়া। প্রথম থেকেই কর্তৃপক্ষের অনড় মনোভাবে পরিস্থিতি জটিল হয়েছে বলে মনে করছেন চিকিৎসক মহলের একাংশ।
একদিকে অধ্যক্ষ যখন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি, ঠিক তখনই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বলছেন, দেখা যাক দ্রুত কী করা যায়। রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা অবশ্য বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
পড়ুয়াদের পাশে অনেকেই
সরকারি তরফে যখন মেডিক্যালের পড়ুয়াদের অনশন তুলতে ব্যর্থ ঠিক তখনই বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়াও আসতে শুরু করেছে। দিন দুয়ের আগে শিক্ষাবিদরা গিয়ে আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে এসেছিলেন। বৃহস্পতিবার সেখানে গিয়েছিলেন মীরাতুন নাহারের মতো ব্যক্তিরা। গিয়েছিলেন বিধানসভায় বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী। আলোচোনার মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসার দাবি করেছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু।