বৃষ্টির জেরে ফলন কম , আলুর দামে নাস্তানাবুদ আম আদমি
চাল তেলের দাম তো বেড়েি আছে। ডালের দামও বেড়েই চলেছে। আর বাকি রইল আলু। মানুষ যে দু মুঠো চাল , ডাল আলু খেয়ে দিনগুজরান করবে সেই পথও জেন বন্ধ হচ্ছে, কারণ বাজারে আলুর দামে লেগেছে আগুন। সমস্ত খুচরো বাজারে চন্দ্রমুখী আলুর দাম ৫০ ছুঁই ছুঁই। জ্যোতি আলুও খুব একটা কম যাচ্ছে না। সেটাও ৩০ এর কমে বড় সাইজের আলু মিলছে না।
সব মিলিয়ে বলা যেতে পারে যে মধ্যবিত্তের পকেটে চাপ পড়ছে আলু কিনতে গিয়ে আলু কিনতে গিয়ে । জানা গিয়েছে এখন যে আলু মিলছে তা সরাসরি মাঠ থেকে বাজারে আসছে। হিমঘর এখনও খোলেনি। তাই দাম বেশি। হিমঘর খুললে দাম কমতে পারে। কেন বাড়ছে আলুর দাম?
এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে বলেন , 'এই সিজনে পুরোটা বৃষ্টি হয়েছে। অন্তত ২০ থেকে ২৫ লক্ষ মেট্রিক টন আলুর ফলন কম হয়েছে। তাই জ্যোতি আলুর দাম এতটা বেশি আছে। পাইকারি বাজারে এর দাম ২৪ টাকা কিলো যাচ্ছে। খুচরো বাজার এর দাম ৩০ টাকা হয়ে যাচ্ছে। তবে স্টোর খুলবে দুই এক দিনের মধ্যে তখন জ্যোতি আলুর দাম ২২ টাকার মধ্যে চলে আসবে। খুচরো তে বড় জ্যোতি ২৫ টাকা হয়ে যাবে। তবে ব্যাপক কিছু দাম কমবে বৃষ্টির জন্য ফলন কম হবার জন্য। চাষি দাম পাচ্ছে। মানুষ সমস্যায় আছে। তবে চন্দ্রমুখীর দাম সরকার ধরে না। ওর চাষ এমনিতেই কমই করে চাষিরা। সেখানে অন্য সমস্যা থাকতে পারে"
আলু ব্যবসায়ীদের দাবি হিমঘরে চন্দ্রমুখী আলু মজুত করতে কেজিতে ১৮ টাকা মতো দিতে হত। তাই এখন সোজাসুজি মাঠ থেকে আলু আসছে বলে একটু নাকি কম। হিমঘরের ভাড়া-সহ চন্দ্রমুখীর দাম আরও ৬-৭ টাকা বেড়ে যেতে পারে। তাই বলা যেতে পারে যারা চন্দ্রমুখীর জন্য মুখিয়ে আছেন তাঁদের সমস্যা বাড়বে বই কমবে না।
তবে অন্যান্য সবজির দাম বেশ কম রয়েছে। গরমের সমস্ত সব্জির দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা প্রতি কেজির মধ্যে রয়েছে খুচরো বাজারে। তবে এই দাম আবার এলাকা অনুযায়ী কম বেশি হয়। ঠিক দাম নিলে দাম ওই ৩০ টাকা প্রতি কেজির মধ্যেই থাকা উচিৎ বলে মনে করছেন কমল দে। পিয়াজের দামও অনেকটাই কম রয়েছে প্রতি কেজি ২০ টাকা কিলো দরে মিলছে। জুন জুলাই পর্যন্ত এর স্টক দারুণ। তাই সমস্যা হবে না বলে জানা গিয়েছে।