লোকসভার ইতিহাসের এই লজ্জাজনক বিতর্কটি দাপটে সামলেছিলেন 'স্পিকার' সোমনাথ
২০০৮ সালের মাঝামাঝি। ভারতীয় রাজনীতিতে তখন এক উদ্বেগজনক পরিস্থিতি। ২২ জুলাই সংসদে আস্থা ভোট। মনমোহন সিংএর নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারকে বাইরে থেকে সমর্থনের হাত তুলে নিয়েছে বামেরা।
২০০৮ সালের মাঝামাঝি। ভারতীয় রাজনীতিতে তখন এক উদ্বেগজনক পরিস্থিতি। ২২ জুলাই সংসদে আস্থা ভোট। মনমোহন সিংএর নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারকে বাইরে থেকে সমর্থনের হাত তুলে নিয়েছে বামেরা। সামনেই ইউপিএম-র অ্যাসিড টেস্ট। এমন সময় সংসদের ইতিহাসে ঘটে যায় সবচেয়ে লজ্জাজনক ঘটনাটি। 'ক্যাশ ফর ভোট' বিতর্ক উঠে আসে সংসদে। স্পিকারের চেয়ারে তখন বাংলার দোর্দণ্ডপ্রতাপ রাজনীতিবিদ তথা ব্যারিস্টার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়।
মূল ঘটনা কী হয়েছিল?
সেই সময়ে বিজেপির তরফে দাবি তোলা হয় আস্থা ভোটে কংগ্রেসের ইউপিএ সরকারকে সমর্থন করার জন্য ঘুষ দেওয়া হয় কয়েকজন বিজেপি সাংসদকে। গেরুয়া শিবিরের সাংসদ সুধীন্দ্র কুলকর্নির নেতৃত্বে বিজেপি সাংসদরা , সংসদে এই নিয়ে সোচ্চার হন।
[আরও পড়ুন:সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনের এই চরম বিতর্কিত অধ্যায় কি 'নিরপেক্ষতার' পরিণতি]
যে দৃশ্য উঠে আসে লোকসভায়
ভরা সংসদে, বস্তাভর্তি নগদ টাকা এনে তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ক্যাশ ফর ভোট ইস্যুতে নগদ টাকা এভাবে ছড়ানোর দৃশ্য় নিঃসন্দেহে সংসদীয় মর্যাদাকে ক্ষুন্ন করে। এদিকে, বিজেপি সাংসদদের সঙ্গে তখন গলা মেলান বামপন্থীরা। সোচ্চার হয় বিরোধী শিবির।
স্পিকার পদে তখন আসীন সোমনাথ
সেই সময়ে স্পিকার পদে আসীন সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেন। নির্দেশ দেওয়া হয় তদন্তের। দিল্লির পুলিশ প্রধানকে দেওয়া হয় তদন্তের দায়ভার। গোটা বিষয়টি তদন্তের জন্য সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় গঠন করেন একটি কমিটি। বিজয় কুমার মালহোত্রা, মহম্মদ সেলিম, দেবেন্দ্র যাদব প্রমুখরা।
গ্রেফতার হন কারা!
পরবর্তীকালে এমন ঘটনার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে, গ্রেফতার হন, সুধীন্দ্র কুলকর্নী অমরসিং, সোহেন হিন্দুস্তানি, সঞ্জীব সক্সেনারা। এদিকে, ঘটনার জেরে সমাজবাদী পার্টি থেকে সেই সময়ে বহিষ্কৃত হন অমর সিং। ভারতীয় সংসদীয় ইতিহাসে এমন ঘটনাজে চরম লজ্জার তা পরবর্তীকালে একাধিক সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেন সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়।