
রড লুকিয়ে মমতা'র বাড়িতে ঢোকে হাফিজুল! জেরায় চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের কাছে
সবার নজর এড়িয়ে মমতার কালীঘাটের বাড়িতে সন্দেহভাজন। আর এই বিষয়টি সামনে আসার পরেই প্রশ্নের মুখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির নিরাপত্তা! তড়িঘড়ি বৈঠকে বসেন পুলিশ আধিকারিকরা। কীভাবে এই ঘটনা তা নিয়ে দফায় দফায় মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে হয় পর্যালোচনা।
আর এরপরেই কালীঘাটের বাড়িতে নিরাপত্তা আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর এই অবস্থায় সন্দেহভাজনকে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাচ্ছেন আধিকারিক।

ধৃত ওই সন্দেহভাজন জেরায় চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে
এনডিটিভিতে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ঘটনায় ধৃত ওই সন্দেহভাজন জেরায় চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে। এক পুলিশ আধিকারিকের বয়ানকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তি ওই জায়গাকে কলকাতা পুলিশের সদর দফতর ভেবেছিলেন। ধৃত ব্যক্তির নাম হাফিজুল মোল্লা। সে উত্তর ২৪ পরগণার হাসনাবাদের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। তবে কলকাতা পুলিশ সদর দফতর ভাবলেও গভীর রাতে সেখানে যাওয়ার কেন প্রয়োজন ছিল সে বিষয়ে নাকি কোনও কিছু স্পষ্ট ভাবে জানাতে পারেনি বলেই খবর।

পাঁচিল টপকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ঢোকে
পুলিশ জানাচ্ছে, অভিযুক্ত হাফিজুল পাঁচিল টপকে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ঢোকে। রাত প্রায় দেড়টা নাগাদ সে সেখানে পৌঁছয় বলেও জেরায় নাকি জানিয়েছেন ধৃত ব্যক্তি। আর এরপর সকাল পর্যন্ত সেখানেই ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকে। রবিবার সকাল ৮টা নাগাদ এক সুরক্ষা কর্মীর নজরে গোটা বিষয়টি আসে। আর এরপরেই কালীঘাট থানায় খবর দেওয়া হয়। দ্রুত ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ পৌঁছে ধৃতকে নিয়ে যায়।

লালবাজারের সদর দফতর ভেবেই নাকি যাবতীয় ভুল।
ওই পুলিশ কর্মী এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, দফায় দফায় জেরায় ধৃত হাফিজুল জানায় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িকে লালবাজারের সদর দফতর ভেবেই নাকি যাবতীয় ভুল। শুধু তাই নয়, কখনও নিজেকে ফল বিক্রিতা বলে দাবি করেছে আবার কখনও ড্রাইভার হিসাবে কাজ করে বলেও নাকি পুলিশকে জানিয়েছে ধৃত মোল্লা। তবে পুলিশ আধিকারিকদের প্রাথমিক ধারনা, সম্ভবত মানসিক রোগে আক্রান্ত সে। তবে কালীঘাটে'র বাড়িতে ঢোকার আগে সে কোথায় কোথায় গিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই খবর।

জামা'র মধ্যে ছিল লোহার রোড।
ইতিমধ্যে ধৃত মোল্লাকে ফের একবার নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তাঁকে জেরা করে আরও সূত্রে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে বলেই খবর। আর এই বিতর্কের মধ্যে সামনে আসছে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এক নিরাপত্তারক্ষী'র অভিযোগ, ধৃত মোল্লার জামা'র মধ্যে ছিল লোহার রোড। ইতিমধ্যে সিআইডি'র তরফেও মোল্লাকে জেরা করা হচ্ছে। কিন্তু একাধিক প্রশ্নের উত্তর তদন্তকারীরা পাচ্ছেন না বলেই খবর। এমনকি বক্তব্যেও অসঙ্গতি রয়েছে বলেও পুলিশ সূত্রে খবর।