মোবাইল-প্রেম গড়িয়েছিল শারীরিক সম্পর্কেও! এখন আর পরকীয়ায় সায় নেই, বাধল বিপত্তি
সোশাল মিডিয়ায় আলাপ। তারপর নিয়মিত চলত চ্যাট, ফোনালাপ। তারপর একদিন সাক্ষাৎ, প্রেমও। কলকাতায় স্বামীর সঙ্গে থাকলেও গোপনে ভিনরাজ্যের যুবকের সঙ্গেও যোগাযোগ রেখে চলতেন তিনি।
সোশাল মিডিয়ায় আলাপ। তারপর নিয়মিত চলত চ্যাট, ফোনালাপ। তারপর একদিন সাক্ষাৎ, প্রেমও। কলকাতায় স্বামীর সঙ্গে থাকলেও গোপনে ভিনরাজ্যের যুবকের সঙ্গেও যোগাযোগ রেখে চলতেন তিনি। নিছক সখ্যতাই নয়, ক্রমেই সেই সখ্যতা ঘনিষ্ঠতায় রূপ নিয়েছিল। আর সেই পরকীয়ার সমাপ্তি হল চরম তিক্ততায়।
এখন আর প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চান না গৃহবধূ। তাতেই ঘটে বিপত্তি। প্রেমিকা বেঁকে বসতেই ফেসবুকে দুজনের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিতে শুরু করে যুবক। শুধু ভয় দেখানোই নয়, এভাবে চলছিল ব্ল্যাকমেলিংও। শেষে শ্রীঘরে স্থান প্রেমিক যুবকের।
বাধ্য হয়েই সাইবার ক্রাইম থানার দ্বারস্থ হতে হয় গৃহবধূকে। বিধানসভা কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ ঝাড়খণ্ডের ধানবাদের বাসিন্দা অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে। ওই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে টাকা চাওয়ার।
কৈখালির বাসিন্দা ওই গৃহবধূর সঙ্গে ফোনেই আলাপ ধানবাদের বাসিন্দা উচ্চশিক্ষিত যুবক অমিত কুমারের সঙ্গে। তাঁদের আলাপচারিতা ক্রমে এমন জায়গায় পৌঁছয় যে, ওই গৃহবধূ বেশ কয়েকবার গোপনে অমিতের সঙ্গে দেখা করতেও যান। তখনই অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ক্যামেরাবন্দি করা হয় বলে অভিযোগ।
এখন সম্পর্কে ইতি টানতেই যুবক অন্তরঙ্গ ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে দেওয়ার ভয় দেখাতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, ব্ল্যাকমেলিং করে টাকাও চাওয়া হয় তাঁর কাছে। অভিযোগ, টাকা আদায়ের জন্যই তাঁকে প্রেমের জালে ফাঁসানো হয়েছিল। তাঁর অজান্তেই ছবি তুলে ব্ল্যাকমেলিংয়ের পরিকল্পনা করে।